Ratan Tata Will: তাকে ঘিরে মানুষের কৌতূহলের কোন শেষ নেই। বেঁচে থাকাকালীন তার জীবনযাত্রা সম্পর্কে মানুষ যতটা কৌতুহলী ছিল মৃত্যুর পরও সেই কৌতূহল এতটুকু কম হয়নি। কথা হচ্ছে ভারতের অন্যতম শিল্পপতি রতন টাটাকে নিয়ে, যার মৃত্যুতে অনেক বড় নক্ষত্রপতন ঘটেছে ভারতের শিল্পজগতে। তার মৃত্যুশোক এখনো ভুলতে পারেনি গোটা দেশ। তিনি তার কর্মের মধ্যে দিয়েই চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন দেশের মানুষের মনে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে তার করা উইল নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে।
শুধুমাত্র ভারতবর্ষে নয়, গোটা বিশ্বে তিনি তার নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এবং টাটা গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গেছেন। তাবড় শিল্পপতিদের মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন। তবে তাকে শিল্পপতি বললে ভুল বলা হবে তিনি আসলে ছিলেন একজন উদ্যোগপতি। তার আয়ের অধিকাংশই তিনি দান করে দিতেন। নানারকম সমাজসেবামূলক কাজে নিযুক্ত ছিলেন সারা জীবন। দেশের একাধিক ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চমকে যাবেন আপনি।
রতন টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রশ্ন হল মৃত্যুর পরে এত টাকা কে পেল? তার করা উইলে (Ratan Tata Will) এমন একজনের নাম রয়েছে যিনি কোনোভাবেই তার আত্মীয় নন। রতন টাটার বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন তিনি। রতন টাটা এতটাই সহৃদয় ছিলেন যে তাকেও বাদ দেয়নি উইল থেকে। সম্পত্তি থেকে ভাগ দিয়ে গেছেন তার ছোট ভাই জিমি টাটা, তার সৎ বোন শিরিন এবং ডিনাকে। এছাড়া টাটা ফাউন্ডেশনকে তিনি তার মোট সম্পত্তির একটা বড় অংশ দান করেছেন। এর পাশাপাশি পরিবারের সদস্য না হলেও উইলে এই ব্যক্তির নাম তিনি উল্লেখ করে গেছেন।
আরো পড়ুন: রতন টাটার উইলে আছে শান্তনু নাইডুর নাম, কি রাখা হয়েছে তার নামে
তাঁর উইলে প্রিয় পোষ্য টিটোর যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থা পর্যন্ত করে গেছেন তিনি। নিজের অবর্তমানে পোষ্যদের যাতে কোনরকম অযত্ন না হয় সেই ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। টিটোকে দেখাশোনার দায়িত্ব রাজনের উপর দিয়ে গিয়েছেন। রাজন দীর্ঘ দিন ধরে টাটার রান্নার দায়িত্ব সামেলেছেন। যতদিন প্রিয় পোষ্য বেঁচে থাকবে ততদিন টিটোর যত্ন নেওয়ার জন্য যা যা খরচ সব কিছুই রাজন করতে পারবেন বলে উইলে (Ratan Tata Will) উল্লেখ করেছেন টাটা।
এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘ ৩০ বছর রতন টাটার সেবায় নিযুক্ত ছিলেন যে সুবাইয়া, তাকেও তিনি বঞ্চিত করেননি। যখনই তিনি বিদেশে যেতেন উপহার আনতে কখনো ভুলতেন না। উইলে (Ratan Tata Will) পোষ্য থেকে বাড়ির কাজের লোক সকলের নাম তিনি উল্লেখ করে গেছেন। এছাড়া তার করা উইলে জায়গা পেয়েছেন শান্তনু নাইডু। শান্তনুর সংস্থায় এতদিন যে অংশীদারিত্ব ছিল রতন টাটার, সেটাও তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। শান্তনু বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য যে ঋণ নিয়েছিলেন তাও মিটিয়ে দিয়ে গিয়েছেন রতন টাটা। টাটা গ্রুপের ঐতিহ্য অনুসারে, টাটা সন্সে তার অংশীদারিত্ব ‘রতন টাটা ফাউন্ডেশন’ কে দেওয়া হবে। জানলে চমকে যাবেন তার সংগ্রহে ছিল ২০-৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, গাড়িগুলি পুনের কোনও মিউজিয়ামে রাখা হতে পারে কিংবা টাটা গ্রুপ সেগুলি নিলামে তুলতে পারে।