নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগেই হাওড়া রেল স্টেশন (Howrah Railway Station) স্বর্ণপদক পায়। পরিষেবা প্রদানের নিরিখে এতদিন এই রেল স্টেশনটি ছিল সিলভার মেডেলিস্ট। তবে এখন তাদের ঝুলিতে এসেছে গোল্ড মেডেল। সিআইআই-আইজিবিসি গোল্ড রেটিং প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway) সূত্রে। প্রতিদিন প্রায় ৬.৫ লক্ষ যাত্রী হাওড়া রেল স্টেশন থেকে যাতায়াত করে থাকেন। বিপুল পরিমাণ এই যাত্রীদের যাতায়াতের ভিড় সামলে এইভাবে গোল্ড মেডেল পাওয়া হাওড়া স্টেশনের কাছে একেবারেই আলাদা প্রাপ্য। কিন্তু এরই মধ্যে আবার লজ্জার এক রেকর্ড তৈরি করল হাওড়া ডিভিশন (Howrah Division)।
ভারতীয় নাগরিকদের প্রায় ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ প্রতিদিন ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেল (Indian Railways) প্রতিদিন ১২ হাজারের বেশি ট্রেন বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে থাকে। একইভাবে হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন রেলস্টেশন থেকেও কয়েক হাজার ট্রেন প্রতিদিন ছাড়া হয়ে থাকে। কিন্তু এই ডিভিশন এই রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে লজ্জাজনক এক অধ্যায় তৈরি করল।
হাওড়া ডিভিশন এমন লজ্জাজনক রেকর্ড তৈরি করেছে মূলত ট্রেন চলাচল করার ক্ষেত্রে। সঠিক সময়ের অনেক দেরিতে ট্রেন ছাড়ার জন্য এমন রেকর্ড তৈরি করেছে হাওড়া ডিভিশন। গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় রেলের ১০টি জোনের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ফলাফল করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। সময়ে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে পূর্ব রেল অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই তালিকায় পূর্ব রেল রয়েছে পাঁচ নম্বর স্থানে।
আবার পূর্ব রেলের বিভিন্ন ডিভিশনের নিরিখে হাওড়া ডিভিশনের হাল একেবারেই লজ্জাজনক। এই ডিভিশনের যে সকল ট্রেন চলাচল করে তার মধ্যে মাত্র ৪৭.৫৯ শতাংশ ট্রেন সময়ে ছেড়েছে। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী সময়ের থেকে দেরিতে অর্থাৎ লেটে ছেড়েছে ৫২.৪১ শতাংশ ট্রেন। হাওড়া ডিভিশনের ফলাফলের নিরিখে তুলনামূলক ভালো জায়গায় রয়েছে আসানসোল (৬৯.৩৫ শতাংশ), দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর (৬৭.৯ শতাংশ) এবং চক্রধরপুরের (৭৬.৭৩ শতাংশ)।
অন্যদিকে সময়ে ট্রেন ছাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে ভালো জায়গায় রয়েছে কোঙ্কন রেলওয়ে। পুরো তালিকা অনুযায়ী দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ডিভিশন ভালো ফলাফল করেছে। কোঙ্কন রেলওয়ে (৭৪.৫ শতাংশ)। তারপর আছে যথাক্রমে দক্ষিণ-পূর্ব রেল (৭১.৯৩ শতাংশ), মধ্য রেল (৬৭.৩ শতাংশ), পশ্চিম-মধ্য রেল (৬৪.৭১ শতাংশ), পূর্ব রেল (৬৪.৫৫ শতাংশ), উত্তর রেল (৫৯.৫১ শতাংশ), উত্তর-মধ্য রেল (৫৭.৩৩ শতাংশ), দক্ষিণ-মধ্য রেল (৫৬.৩৯ শতাংশ), ইস্ট-কোস্ট রেল (৫৪.৮৮ শতাংশ) এবং দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল (৩৮.২৪ শতাংশ)।