নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য রাজনীতিতে এখন অন্যতম আলোচিত রাজনীতিক হলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। একদা বাম ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রী এখন রাজ্যের শাসকদলের অন্যতম দাপুটে নেত্রী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে যোগ দিয়ে পেয়েছেন একের পর এক সম্মান। যুব তৃণমূলের সর্বোচ্চ দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি স্টার প্রচারক হিসাবে তিনি সম্মানিত হয়ে থাকেন। শুধু সম্মান নয়, পাশাপাশি সায়নী ঘোষ যে সকল জায়গায় বক্তব্য পেশ করেছেন, তার অধিকাংশ জায়গাতেই তাকে মঞ্চ মাতাতে দেখা গিয়েছে।
তবে এমন মঞ্চ মাতানোর মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি সভায় সায়নী ঘোষ এবং মানস ভূঁইয়ার (Manas Bhunia) দুটি শব্দ বিতর্ক তৈরি করে রাজ্যে। যে সভার কথা বলা হচ্ছে সেই সভায় মঞ্চে বক্তব্য রাখার আগে সায়নী ঘোষকে মানস ভূঁইয়া বলেন, ‘সায়নী লাগাও’ (Saayoni Lagao)। এই কথা শুনে সায়নী ঘোষ আবার বলেন, ‘বলছে লাগাও। ঠিক বলেছে।’ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য জুড়ে সায়নী ঘোষ এবং মানস ভূঁইয়াকে নিয়ে শুরু হয় নানান কুরুচিকর মন্তব্য। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বয়ে যায় মিমের বন্যা।
তবে প্রশ্ন হল এই লাগাও শব্দটির আসল অর্থ কি? মানস ভূঁইয়া সায়নীকে ঠিক কি লাগাতে বলেছিলেন? এবার সেই তথ্য ফাঁস হল। সায়নীকে মানস ভূঁইয়া ঠিক যা লাগাতে বলেছিলেন তা লুকিয়ে রয়েছে তার জন্মস্থানে। রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া জন্মগ্রহণ করেছেন মেদিনীপুরের সবংয়ে। এই এলাকা একেবারেই প্রত্যন্ত এবং গ্রাম্য এলাকা। এই গ্রাম্য এলাকাতেই মানস ভূঁইয়া বড় হন।
যে কারণে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের এই মন্ত্রীর কথাবার্তাই পাওয়া যায় গ্রাম্য ভাষার টান। এখনো পর্যন্ত মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার বক্তব্য শুনলে দেখা যাবে, তিনি বিভিন্ন জায়গায় কথায় কথায় গ্রাম্য সব ভাষার ব্যবহার করে থাকেন। সেদিনও মঞ্চে যখন সায়নীকে বক্তব্য রাখার জন্য মাইক ধরিয়ে দিয়েছিলেন তখনো তিনি গ্রাম্য ভাষা ‘লাগাও’ কথাটি ব্যবহার করেছিলেন। এই ‘লাগাও’ কথাটি নিয়েই পরবর্তীতে নানান মিম, কুরুচিকর মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে।
মানস ভূঁইয়া সায়নীর হাতে মাইক ধরিয়ে যে ‘লাগাও’ কথাটি বলেছিলেন তার অর্থ হল শুরু করা। গ্রাম্য এলাকায় এমন কথা বহু ক্ষেত্রেই বলতে শোনা যায়। মানস ভুঁইয়ার এই লাগাও কথাটির অর্থ হলো সায়নীকে ভাষণ শুরু করতে বলেছিলেন। তবে পরবর্তীতে মন্ত্রীর এই কথা রসিক প্রিয় বাঙালিদের কাছে মিমের আলাদা রসদ হয়ে দাঁড়ায়।