Krishna Kalyani: কীভাবে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী হয়ে উঠেলন কোটি কোটি সম্পত্তির মালিক, ফাঁস হল রহস্য

Secret of wealth of MLA Krishna Kalyani: বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) প্রাসাদ সমান বাড়িতে আয়কর হানার পর রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছিলেন তিনি। নেটিজেনরা তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি মন্নত’ বলেও দাবি করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ৩০ ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁর অফিস ছাড়েন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অন্যদিকে, বিধায়কের এই প্রাসাদ সমান বাড়ি দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। কিন্তু কিভাবে এত টাকার মালিক হলেন তিনি? এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মনে। আবার একাংশ দাবি করেছেন যে, তিনি রাজনীতিতে আসার আগেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এমনকি কৃষ্ণ কল্যাণী একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। রায়গঞ্জের মিরুয়াল এবং গঙ্গারামপুরে দুটি সলভেক্স প্লান্ট রয়েছে তার নামে। এছাড়াও রায়গঞ্জ মিরুয়ালে তাঁর একটি মাছের খাদ্য তৈরির ফ্যাক্টরি রয়েছে। এমনকি কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani) একটি মিলের মালিক, যেখানে গম থেকে আটা উৎপাদিত হয়। অন্যদিকে, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাতেও যথেষ্ট দাপট রয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর। বিধায়কের নামে রয়েছে একটি ‘গ্রসারি মার্কেট’ এবং ফুড কোর্টও। ‘বানারসি গলি’ নামক একটি মিষ্টির দোকানের মালিক তিনি।

তাঁর ব্যবসার তালিকা কিন্তু এখানেই শেষ হচ্ছে না। এছাড়াও জানা গেছে যে, কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani) পাঁচটি রয়্যাল এনফিল্ড শোরুমের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সম্পত্তির কোনো শেষ নেই, তার নামে রয়েছে একটি ঘড়ির শো-রুমও। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শাসক দলের এই বিধায়ক। জানলে আশ্চর্য হবেন তাঁর একটি টেলিভিশন চ্যানেলও রয়েছে। এই সুদীর্ঘ তালিকায় থাকা প্রতিটা ব্যবসা ভীষণ দক্ষ হাতে সামলেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী, এরকমই দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের।

এই বিধায়ককে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির করে আয়কর আধিকারিকরা। তাঁর অফিস থেকে বার হওয়ার পর কার্যত রেগে গেছিলেন তিনি। শেষমেশ তাঁকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পরে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। এমনকি অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটেই অফিস থেকে নিজের বাড়িতে ফেরেন তিনি। বিধায়ক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি সম্পূর্ণ হোয়াইট কলারের মানুষ। তাই তাকে কালো করা যাবে না কোনোভাবেই, সে কোনরকম দুর্নীতি করেনি।

তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু নথিপত্র আধিকারিকরা সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তিনি যতটা পেরেছে নথি পড়ে সই করেছে। এমনকি কোনো আধিকারিক খারাপ ব্যবহার করেননি তার সাথে। তার এই কঠিন সময়ে সবসময় সাধারন মানুষ তার পাশে ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে যে আয়কর তল্লাশি হয়েছে তার পিছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। কিন্তু, পরে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।