নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। স্মার্টফোনের ব্যবহার এতটাই বাড়ছে যে এখন তা প্রায় প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি বহু মানুষকে দেখা যায় দিনের অধিকাংশ সময় এই স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়েই কাটিয়ে দেন। তবে অনেকেই এই স্মার্টফোনের গঠন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।
সাধারণত স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে আমরা যে সকল জিনিসগুলি দেখে থাকি তাহলো ক্যামেরা, ডিসপ্লে, কতগুলি সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে, কোন ধরনের নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ফোনের পিছনে এবং সামনে ক্যামেরা থাকে, ভলিউম বাড়ানো কমানোর জন্য থাকে সুইচ, টাচ স্ক্রিন ইত্যাদি।
তবে এছাড়াও দেখা যায় প্রতিটি স্মার্টফোনের উপরের দিকে থাকে একটি ছোট্ট ছিদ্র। যারা নিজেদের ফোন খুঁটিয়ে দেখেন তাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন, ফোনের উপরে এই ছোট্ট ছিদ্র কেন রাখা হয়? এই ছোট্ট ছিদ্র নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সেই ছোট্ট ছিদ্র কেন রাখা হয় তার আজ আমরা জানাবো।
আসলে যে কোন স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ভয়েস কলের জন্য দুটি মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়। যে দুটি মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয় সেই দুটি মাইক্রোফোনের মধ্যে দ্বিতীয় মাইক্রোফোন হল এটি, যেটিকে আমরা ফোনের উপরে ছোট্ট ছিদ্র হিসাবে দেখে থাকি। তবে এর কাজ একেবারে অন্য ধরনের।
ফোনের উপরে থাকা এই ছোট্ট মাইক্রোফোনটি কাজ করে নয়েস ক্যানসেলিং মাইক্রোফোন হিসাবে। কোন ব্যক্তি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন এবং তার চারদিকে প্রচুর যানবাহন যাচ্ছে ও তাদের আওয়াজ উঠছে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় এই মাইক্রোফোনটি না থাকলে ওই ব্যক্তির কন্ঠস্বর অপর ব্যক্তি ঠিকভাবে শুনতে পেতেন না।
দ্বিতীয় এই মাইক্রোফোনটির কাজ হল বাইরের আওয়াজ বাতিল করে কেবলমাত্র ওই ব্যক্তির কণ্ঠস্বর স্পষ্টভাবে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া। ফোনে কথা বলার সময় একসঙ্গে দুটি মাইক্রোফোনে চলে অডিয়ো ক্যাপচার করার কাজ। ফোনের মধ্যেই সব প্রসেসিং শেষ করে অপ্রয়োজনীয় নয়েস বাদ দিয়ে রিয়েল টাইমে এই আওয়াজ আপনার ফোন থেকে চলে যায় ফোনের অপর প্রান্তে। যে কারণে দেখা যায় বর্তমানে এমন এমন ফোন লঞ্চ হয়েছে যেগুলিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বললেও বাইরের আওয়াজ একেবারেই যায় না অপর প্রান্তে।