নিজস্ব প্রতিবেদন : একেই দেরিতে বর্ষার (Monsoon) আগমন হয়েছে দেশের পাশাপাশি বাংলায়, এরপর আবার সেই ভাবে নিম্নচাপ বা কোন সিস্টেম সক্রিয় না হওয়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গে ৪০ শতাংশের বেশি বৃষ্টির (Rain) ঘাটতি রয়েছে। এমনকি সেচ দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দিন সাতেকের মধ্যে সেইভাবে বৃষ্টি না হলে এই ঘাটতি মেটানো মুশকিল।
দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে প্রতিদিনই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি থাকলেও উত্তরবঙ্গে দফায় দফায় টানা বৃষ্টির ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা যখন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সেই সময় বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ মাথাচাড়া দিচ্ছে। যদিও সেই নিম্নচাপ কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে বাংলায় তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
বঙ্গোপসাগরের যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সেই নিম্নচাপের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর সেইভাবে পড়বে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এই নিম্নচাপের প্রভাব দেখা যাবে দক্ষিণ দিকে। নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশা, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি দেখা যায় তা বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি বলে জানাচ্ছে হওয়া অফিস।
এর পাশাপাশি মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ বাংলায় ভারী বৃষ্টির তেমন কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। কোন কোন জায়গায় সাময়িকভাবে ভারী বৃষ্টির দেখা মিলবে। অন্যদিকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে সহজেই রেহাই মিলবে না।
অন্যদিকে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জন্য ভারী বৃষ্টি নিয়ে সেরকম কোন পূর্বাভাস না থাকলেও সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের উপরের দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলিতে রবিবার থেকেই ফের একবার মাঝারি ধরনের বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে।