নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে কোনো গ্যারান্টি নেই। যেকোনো সময় যে কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আর এই ঝুঁকি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তবে হঠাৎ আপনি যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন তা হলে কি কি করণীয় তা আমাদের জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। আর এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কি জানিয়েছেন তা জেনে নেওয়া যাক।
হঠাৎ কেউ করোনা আক্রান্ত হলে কি করণীয় তা সম্পর্কিত কিছু টিপস দিয়েছেন মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের অধিকর্তা সিএস প্রমেশ। তিনি জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বাড়িতে থার্মোমিটার এবং পালস অক্সিমিটার কিনে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কেউ আক্রান্ত হলে এই দুটি জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম হিসাবে কাজ করবে।
সিএস প্রমেশের কথায়, যাবতীয় সর্তকতা স্বত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এমনকি টিকা নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ। তিনি সবসময়ই একটি জিনিস মনে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তা হল, কোনোটিই ১০০% কার্যকরী নয়। তবে তিনি এটাও আশ্বাস দিয়েছেন যে শূন্যের থেকে ৭০-৯৫% কার্যকরী ঢের ভালো।
সিএস প্রমেশ পরামর্শ দিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হলে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই হলো সবথেকে বড় সমস্যার কারণ। কোন বড় সমস্যা না থাকলে ৯৮ শতাংশ মানুষই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে আক্রান্ত হলে অথবা আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনো রকম সম্ভাবনা তৈরি হলে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে নিন, নিভৃতবাসে চলে যান। কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা বাড়িতে সম্ভব হলে তাও করতে পারেন।
সিএস প্রমেশ জানিয়েছেন আক্রান্ত হওয়ার পর থার্মোমিটার এবং পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করে দেহের তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামার তালিকা তৈরি করুন। দিনে দু’তিনবার এই পরিমাপ করতে হবে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপার সময় প্রথমে একবার মেপে দ্বিতীয়বার মিনিট ছয়েক হাঁটাচলা করার পর পুনরায় মাপুন।
খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যথেষ্ট পরিমান ফ্লুইড খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকে। সবসময় নিজেকে ইতিবাচক রাখুন, কোনভাবেই ভেঙে পড়লে হবে না। আর এই ভাবেই এই সময়টা পার করা যাবে।
[aaroporuntag]
হাসপাতালে সাথে যোগাযোগ করার বিষয়ে সিএস প্রমেশ জানিয়েছেন, যদি শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৫% কমে যায় এবং মিনিট হাঁটা চলার পর তা যদি আরও ৪ শতাংশ বা তার বেশি কমে যায় তাহলে হাসপাতালে সাথে যোগাযোগ করতে হবে।