নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে নয়ডার টুইন টাওয়ার। এই যমজ আবাসন দুপুর আড়াইটার সময় নির্ধারিত সময় অনুসারে ভেঙে ফেলা হয়। ৪০ তলা এবং ১০০ মিটার এই ইমারত ভাঙতে সময় লাগে মাত্র ৯ সেকেন্ড। নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে এই বহুতলে সব মিলিয়ে মোট ৯০০টি ফ্ল্যাট ছিল। মোট সাড়ে ৭ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ছিল এই টুইন টাওয়ার।
কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা এই জোড়া টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলার কারণ নিয়ম না মেনে নির্মাণ করার। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এই জোড়া টাওয়ার ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দেয়ছিল। যে দুটি বহুতল ভেঙে ফেলা হয় সেই দুটির মধ্যে একটির নাম অ্যাপেক্স, যার উচ্চতা ছিল ১০০ মিটার এবং অন্যটির নাম সিয়ানে, যার ছিল ৯৭ মিটার।
রবিবার দুপুর বেলা এই টুইন টাওয়ারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয় ডিটোনেটর, শক টিউবের মতো বিস্ফোরক। এই দুটি আবাসন ভেঙ্গে ফেলার পর মোট ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। ৪০ তলা এই জোড়া আবাসন ভেঙ্গে ফেলতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এই ২০ কোটি টাকার মধ্যে ৫ কোটি টাকা দিয়েছে আবাসন নির্মাণকারী সংস্থা এবং বাকি টাকা তোলা হবে ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে।
এই ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ৩০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৮০ নং সেক্টরে ‘কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেমলিশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট’-এ। সেখানে এই ধ্বংসাবশেষের প্রক্রিয়াকরণ হবে। সমস্ত ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সময় লাগবে আনুমানিক তিন মাস।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে তৈরি করা এই দুটি টাওয়ার তৈরি করতে খরচ হয়েছিল আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। যদিও পরে এই মূল্যায়ন বের হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা।