নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোর সময় দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) আবহাওয়া কেমন থাকবে এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জোর জল্পনা। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, চলতি বছর দুর্গাপুজোর সময় ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে আর তার সঙ্গে চলবে ঝেঁপে বৃষ্টি। সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি মনে শুরু হয়েছে নানান অশনি সংকেত।
পুজোর সময় ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে এমন সংশয় তৈরি হয়েছে মূলত আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই বছর বর্ষার মরশুম পুরোপুরি শুকনো থাকে আর বর্ষা পার করতেই দফায় দফায় নিম্নচাপে বৃষ্টিতে ভিজে উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের প্রায় অধিকাংশ জেলা। আবার দুর্গাপুজোর আগেও নিম্নচাপের কারণে দফায় দফায় বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার দুর্গা পুজোর সময় কেমন থাকবে আবহাওয়া তা নিয়ে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে মিলল ইঙ্গিত।
পুজোর চার দিন বৃষ্টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানান গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুজো এখনো বেশ কয়েকটা দিন দেরি হয়েছে। তাই এখন থেকেই নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব নয় যে পুজোর চার দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে তাতে পুজোর চার দিন বৃষ্টির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। পুজোর সময় আবহাওয়া ভালো থাকতে পারে এবং রোদ ঝলমলে পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে।
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার জন্য নিম্নচাপের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েই ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেয়। কিন্তু এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগর অথবা সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং এখনই নিখুঁতভাবে বলা না গেলেও পুজোর সময় মোটামুটি আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াই ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জন?
এই বিষয়ে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এক দুদিন কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মহালয়ার দুদিন আগেই রাজ্য থেকে বিদায় নেবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। যদিও আবহাওয়াবিদরা আবার আশঙ্কার বিষয়টিকে সামনে রেখে এটাও জানাচ্ছেন, যেকোনো সময় নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে। যে কারণেই পূজোর চার দিন কেমন কাটবে তা নিখুঁতভাবে জানতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বঙ্গবাসীদের। কেননা এত আগে ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব নয়। তাই যারাই ভবিষ্যৎবাণী করছেন তারা কতটা ঠিক করছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।