নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং সংস্থা WhatsApp এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিল। গত এক মাসের মধ্যে তারা ২০ লক্ষ WhatsApp অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। এই প্রতিটি অ্যাকাউন্টই ভারত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কেন এত বড় পদক্ষেপ তার কারণও জানিয়েছে সংস্থা।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের পরিবেশ সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্মে গালিগালাজ সহ অন্যান্য কুকর্মের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে এই অভিযান চালানো হয়েছে ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত। সংস্থার মাসিক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ভারত সরকারের তরফ থেকে নতুন যে তথ্যপ্রযুক্তি আইন আনা হয়েছে সেই আইনের পরিপ্রেক্ষিতেই এই রিপোর্ট পেশ করেছে WhatsApp। যে আইনে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া গুলিকে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা করার জন্য।
সংস্থার তরফ থেকে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সংস্থায় নিরাপদ পরিবেশ দেওয়ার জন্য সংস্থার তরফ থেকে ধারাবাহিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তিগত উন্নয়নের কাজ চালানো হবে। অ্যাপের মাধ্যমে যাতে ক্ষতিকারক মেসেজ না ছড়াই সেদিকে নজর রাখা হবে। আর এরই পদক্ষেপ হিসেবে মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে ২০ লক্ষ WhatsApp অ্যাকাউন্ট বন্ধ হলো ভারতে।
সংস্থার তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের অপব্যবহারের জন্য বেশকিছু টুল ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সকল ঘটনাকে রুখে দেওয়া হলো প্রথম লক্ষ্য। মূলত এই সকল বিষয়গুলি দেখার জন্য যে টিম রয়েছে সেই টিম তিনটি বিষয় রেজিস্ট্রেশনের সময়, ম্যাসেজিং এবং নেগেটিভ ফিডব্যাকের উপর ভিত্তি করেই অ্যাকাউন্টগুলি নিষিদ্ধ করে।
প্রসঙ্গত জেনে রাখা ভালো, এর আগেও সংস্থা এমন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার মত পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে তারা ভারত সরকারকে তার কারণ বা অন্যান্য তথ্য জানাতে বাধ্য ছিলনা। এখন নতুন আইটি আইনের পরিপ্রেক্ষিতে তা সরকারকে জানাতে বাধ্য। সরকার এই রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।