নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ সংস্থা WhatsApp সম্প্রতি তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জানিয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু হচ্ছে। এই নতুন প্রাইভেসি পলিসি ব্যক্তিগত তথ্য সংক্রান্ত। যার পরেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয় WhatsApp নিয়ে। এমনকি অজস্র ব্যবহারকারী WhatsApp ছেড়ে অন্যান্য ম্যাসেজিং সংস্থাগুলির দিকে ঝুঁকতে শুরু করে। আর এই সকল গতিবিধি দেখে অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করলো WhatsApp।
সম্প্রতি এই ম্যাসেজিং সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হলো। সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকছে ২০২১ সালের ১৫ই মে পর্যন্ত। অর্থাৎ সংস্থার এই সিদ্ধান্তের পর আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু হচ্ছে না। আর এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণে ব্যবহারকারীরা আগের মতই নির্দ্বিধায় ব্যবহার করে যেতে পারবেন WhatsApp। ডিলিট হবে না অ্যাকাউন্ট।
WhatsApp সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি সহজ ধারণার উপর তৈরি WhatsApp। এখানে আপনি আপনার বন্ধু অথবা আত্মীয়দের সাথে যা শেয়ার করেন তা আপনাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। WhatsApp সব সময় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মেসেজ এবং অন্যান্য তথ্য রক্ষা করে থাকে। এই পদ্ধতির কারণে WhatsApp অথবা ফেসবুক কারোর ব্যক্তিগত মেসেজ বা তথ্য নজর রাখতে পারে না। ব্যবহারকারীর শেয়ার করা লোকেশন কখনোই দেখতে পায় না WhatsApp। পাশাপাশি আমরা ফেসবুকে আপনাদের কন্ট্যাক্ট শেয়ার করি না।”
Thank you to everyone who’s reached out. We're still working to counter any confusion by communicating directly with @WhatsApp users. No one will have their account suspended or deleted on Feb 8 and we’ll be moving back our business plans until after May – https://t.co/H3DeSS0QfO
— WhatsApp (@WhatsApp) January 15, 2021
পাশাপাশি WhatsApp তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে, “WhatsApp আরও কাজ করছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং নিরাপত্তার জন্য। ৮ ফেব্রুয়ারি কারোর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড অথবা ডিলিট করা হবে না।”