কবে খুলবে মদের দোকান, কি বলছে আবগারি দফতর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে দেশ জুড়ে জারি হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। পরে আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যেই বন্ধ মদের দোকান! ফলে রীতিমত হা হুতাশ জুড়েছে সূরা প্রেমীরা। এসবের ফলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষদের রীতিমত প্যানিক, ডিপ্রেসন ও অ্যাঞ্জাইটি-এর মতন অসুখ রীতিমত মাথা চারা দিয়ে উঠছে।

এমনকি সূরা প্রেমীরা আগে থেকে যে বাড়িতে পানীয় মজুদ করে রাখবেন সেই সুযোগও পাননি। কারন ২২ তারিখ রবিবার জনতা কারফিউয়ের ঠিক পরের দিন বিকেল পাঁচটা থেকেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন এরাজ্যে। অবস্থা এমনই গুরুতর যে পকেটে টান পড়লেও ১০০ টাকার মদ ৪০০-৫০০ তেও কিনছেন অনেকে, ৫০০ টাকার মদ কিনছেন হাজার তিনেক টাকায়! এক কথায় ব্ল্যাকে কিনতে হচ্ছে মদ।

মদ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস না হলেও মানসিক অবসাদের কারণে এটি বর্তমানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে গেছে অনেকের কাছে। এমনও দেখা গিয়েছে, খবর রটেছে দু’ঘণ্টার জন্য খোলা হবে দোকান। আবার মদের হোম ডেলিভারী দেওয়ার মত ভুল খবরকেও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। মোটের উপর চাতকের মত চেয়ে আছেন সূরা প্রেমীরা। এমন অবস্থায় দোকান কবে খুলবে এই একটাই প্রশ্ন তাদের মাথায়।

মেঘালয়ে ১৩ই এপ্রিল অর্থাৎ আজ থেকে খুলে গেল মদের দোকান। কিন্তু এরাজ্যে? আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যতদিন না লকডাউন উঠছে কোনোভাবেই মদের দোকান খোলার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ আগামী ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত কোনো আশায় নেই মদের দোকান খোলার। আবার তারপরেও লকডাউন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারন পরিস্থিতি খারাপ হলে আবারও বাড়তে পারে লকডাউন। এ রাজ্যের আবগারি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় কোনোভাবেই মদের দোকান খোলা হবেনা। অনেকেই বলছেন, দু-এক ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা হবে কিন্তু সেটা সত্যি নয়। কারন মদ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নয় যেটা না হলে মানুষের জীবন চলবে না। তাই লকডাউনের মধ্যে মদের দোকান খোলার কোনরকম সম্ভাবনাই নেই। লকডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত করতেই হবে অপেক্ষা।

২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে সূরা রাজস্বকে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও মনে করছেন কর্ম কর্তারা। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে আবগারি রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫,২২৬ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৯,৩৪০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯-এ ১০,৫৯০ কোটি টাকা। তাই ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩-১৪ হাজার কোটি টাকা। তাই, এই লকডাউনের ফলে প্রায় ৩০০০ থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের আবগারি দফতর।