Perfect time for Drink water: খাওয়ার সময় জল পান করে থাকেন! অজান্তেই ডেকে আনছেন শতাধিক রোগ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ জল পান (Drink water) করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ঠিক কখন জল পান করা উচিত তা নিয়েও চিকিৎসকদের থেকে নানান পরামর্শ পাওয়া যায়। অনেকেই রয়েছেন যারা খাওয়ার সময় ধক ধক করে জল পান করেন। কিন্তু এমনটা যারা করে থাকেন তারা নিজের অজান্তেই ডেকে আনেন মহাবিপদ।

Advertisements

খাবার খাওয়ার সময় জল পান করা শরীরে কতটা ক্ষতি ডেকে আনে তা সম্পর্কে জানিয়েছেন লখনৌয়ের আয়ুর্বেদা কলেজ ও হাসপাতালের আয়ুর্বেদাচার্য চিকিৎসক সর্বেশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার সময় জল পান করলে ১০০ টির বেশি রোগ মানবদেহে বাসা বাঁধে। কেন এমনটা হয় তা সম্পর্কেও তিনি জানিয়েছেন।

Advertisements

আয়ুরবেদাচার্য চিকিৎসক সর্বেশ কুমার জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার সময় জল পান করলে হজম শক্তি দুর্বল হতে পারে আর বাড়তে পারে স্থূলতা। খাবার খাওয়ার সময় জল পান করলে তা পেটের পৃষ্ঠ দ্বারা শোষিত হয়। হজমের জন্য প্রয়োজনীয় তরল ঘন না হওয়া পর্যন্ত এমন শোষণ হতে থাকে। প্রয়োজনের থেকে বেশি জল পান করলে এই তরল খাবারের চেয়ে বেশি ঘন হয়ে যায়। আর এর ফলে গ্যাস্ট্রিক রস তৈরি হতে থাকে এবং যার ফলে বদহজম, গ্যাস, বুক জ্বালা ইত্যাদির সমস্যা হয়।

Advertisements

আরও পড়ুন ? জল পান করছেন শিব মূর্তি! জানাজানি হতেই দূর দূরান্ত থেকে লোক জমছে অন্ডালে

আবার খাবার খাওয়ার পরপরই জল পান করলে সেক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাকস্থলীর জথারাগ্নি নামক শক্তি নষ্ট হয়। এর ফলে আবার খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। ধীরে ধীরে খাবার পেটে থাকতে শুরু করে এবং খাবার পেটে পৌঁছে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা তৈরি করে। ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, যখন সাধারণ মশলাদার খাবার খাওয়া হয় তখন জল পান করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। তবে খুব মশালাদার খাবার হলে খাওয়ার সময় সামান্য জলপান করা যেতে পারে। এছাড়াও খাবার খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

তাহলে কখন জল পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক? এই বিষয়ে ওই চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার অন্ততপক্ষে এক ঘন্টা আগে জল পান করা উচিত। আবার খাবার খাওয়ার এক থেকে দু’ঘণ্টা পর জল পান করা উচিত। তবে এই বিষয়ে আরও কৌতুহল থাকলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে সেই পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে।

Advertisements