নিজস্ব প্রতিবেদন : গত এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বাসিন্দারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন গরম কাকে বলে। প্রখর রৌদ্রে তাপমাত্রার পারদ এমন জায়গায় উঠে গিয়েছিল যে বাড়ি থেকে বের হওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এখন আর সেই রোদের ঝলকানি নেই, বরং এখন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আকাশ অধিকাংশ সময় আংশিক মেঘে ঢাকা থাকছে।
দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আকাশ আংশিক মেঘে ঢাকা থাকার কারণে হয়তো প্রখর রোদ থেকে মুক্তি মিলছে ঠিকই, কিন্তু গরম আর অস্বস্তি থেকে এক বিন্দু মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। বরং জলীয়বাষ্প বাড়িয়েছে ভ্যাপসা গরম, আর সেই ভ্যাপসা গরমে পরিস্থিতি আরো অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সবার মধ্যেই প্রশ্ন বর্ষার (Monsoon South Bengal) দেখা পেতে আর কতদিন সহ্য করতে হবে?
গত দিন দুয়েক ধরেই সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই দেখা যাচ্ছে আকাশ কিন্তু মেঘে ঢাকা। আর এই আকাশ মেঘে ঢাকা দেখে অনেকেই এই বৃষ্টি এলো ভাবলেও কিন্তু বৃষ্টির কোন চান্স আপাতত নেই। যদি বা বৃষ্টি হয় তাও কোন কোন জায়গায় ছিঁটে ফোটা হতে পারে। তবে সেই বৃষ্টিতে কিন্তু গরম কমবে না। হাওয়া অফিস যা জানাচ্ছে তাতে বর্ষার বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের মাটি ভেজাতে এখনো দুই থেকে তিন দিন সময় নেবে। অর্থাৎ এখনো ২-৩ দিন বর্ষার দেখা পেতে গরম সহ্য করতে হবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের।
দক্ষিণবঙ্গ তো ছেড়েই দিলাম, এখনো পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সমস্ত জায়গাতেই বর্ষা পৌঁছায়নি। বর্ষা পৌঁছাতে বাকি রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায়। এই সকল জেলাতেও দু-তিন দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে যাবে আর তারপরেই পদার্পণ হবে দক্ষিণবঙ্গে। আবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার পদার্পণ নিয়েও একটি খারাপ খবর দিয়েছে হওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশ করলেও সেইভাবে কিন্তু বৃষ্টির দেখা মিলবে না।
দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত বর্ষার পদার্পণ না হওয়া, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বজায় থাকার মত পরিস্থিতি হলেও আবার উল্টো ছবি উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় এতটাই বৃষ্টি হচ্ছে যে সব ভেসে যাচ্ছে। এদিকে সঠিক সময়ে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন না হওয়া, বৃষ্টির ভবিষ্যৎবাণী সেই ভাবে না থাকার কারণে সবচেয়ে অনিশ্চয়তায় যারা ভুগছেন তারা হলেন কৃষি নির্ভর মানুষেরা। বর্ষার সেইভাবে আগমন না হলে কিন্তু এবারও ফলন পাবেন না কৃষকরা।