নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে এখন অপেক্ষা বুলেট ট্রেনের (Bullet Train)। ব্রিটিশ আমলের রেলের শৃংখল ধীরে ধীরে ত্যাগ করে ভারতীয় রেল (Indian Railways) নিজেদের পরিষেবার উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছে ঝড়ের গতিতে। ইতিমধ্যেই ভারতের রেল ট্র্যাকে দৌঁড়াচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মত নতুন নতুন ট্রেন। আর এসবের মধ্যেই এবার জানা গেল কবে শুরু হবে বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল রান।
ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন দৌঁড়াবে আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই রুটে। এই রুটের কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে। এমন সব প্রকল্প শুরু করার জন্য সবচেয়ে জরুরি যে বিষয়টির প্রয়োজন হয় তা হল জমি অধিগ্রহণ। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের রুট অর্থাৎ মুম্বাই-আমেদাবাদ রুটের ১০০% জমি অধিগ্রহণের কাজ হয়ে গিয়েছে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে বুলেট ট্রেনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার নোটিশ জারি করা হয়েছিল এবং শেষমেষ সেই অধিকগ্রহণ সমাপ্ত করতে সফল হয়েছে সরকার। ১০০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের কাজ হয়ে যাওয়ার ফলে কাজের ক্ষেত্রে আর তেমন বড় কোন বাধা আসবে না এমনটাই আশা করা হচ্ছে। জমি অধিকগ্রহণের ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও তা এখন সম্পূর্ণ।
আরও পড়ুন ? Terminal of Bullete Train: চটজলদি দেখে নিন দেশের বুলেট ট্রেনের স্টেশনের প্রথম ঝলক
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ভারতের স্বপ্নের প্রকল্প বুলেট ট্রেনের জন্য ১৩৮৯.৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দাদরা এবং নগর হাভেলি এলাকায়। এই সকল এলাকায় জমির অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগার কারণে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ কিছুটা হলেও দেরি হয়েছে রেলের।
তবে বুলেট ট্রেনের জন্য ভারতীয়দের আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না বলেও জানা যাচ্ছে। কেননা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, যে গতিতে কাজ চলছে তাতে আগামী ২০২৬ সালের আগস্ট মাসেই বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল রান শুরু হয়ে যাবে। তবে এই কাজ দেরী হওয়ার পিছনে মূলত মহারাষ্ট্রের জমি অধিগ্রহণের জন্য কিছুটা সময় লাগে, আবার কোভিড পরিস্থিতির জন্য কাজে কিছুটা ঢিলেমি পড়ে যায়। মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মধ্যে বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলিতে বুলেট ট্রেন পাহাড়ের ভিতর টানেলের মধ্য দিয়ে ছুটবে, আবার ছুটবে সমুদ্রের নিচে থাকা টানেলের মধ্য দিয়ে। এইসব কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় এখন ভারতীয়রা। দেশ এখন তাকিয়ে ২০২৬ সালের দিকেই।