নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই স্মার্ট মিটার (Smart Meter) নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ইনস্টলেশনের কাজ। ইতিমধ্যেই দেশের বহু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানো হয়ে গিয়েছে। স্মার্ট মিটার বসানোর ফলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিদ্যুৎ বিলের (Electric Bill) ঝামেলার দিন শেষ হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি আরও যে সকল হিউম্যান এরর রয়েছে সেগুলিও আর থাকবে না। স্মার্ট মিটার এখনো পর্যন্ত যে সকল জায়গায় বসানো হয়েছে সেই সকল কোন জায়গা থেকেই কোনরকম অভিযোগ আসেনি বলে জানা যাচ্ছে।
স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম সংস্থা (WBSEDCL)। স্মার্ট মিটার বসে যাওয়ার ফলে আর বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসতে হবে না কর্মীদের। এছাড়াও কর্মীদের তরফ থেকে যে সকল ভুল ভ্রান্তি হয় সেগুলি হবে না। স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য ইতিমধ্যেই হুগলির চন্দননগর এবং শ্রীরামপুর ডিভিশনে জোড়কদমে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
স্মার্ট মিটার বসানো হলে আর মাসে মাসে অথবা তিন মাস ধরে বিল দিতে হবে না গ্রাহকদের। এক্ষেত্রে প্রিপেইড মোবাইল রিচার্জের মত আগে থেকেই রিচার্জ করে নিতে হবে এবং যতক্ষণ টাকা থাকবে ততক্ষণ পরিষেবা পাওয়া যাবে। টাকা শেষ হয়ে গেলেও কোন চিন্তা নেই। কেননা টাকা ফুরানোর আগে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে মেসেজ আসবে এবং সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় রিচার্জ করে নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পরিষেবা নিয়েও অভিযোগ থাকবে না গ্রাহকদের মধ্যে।
স্মার্ট মিটার মারফত পরিষেবা পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই মুখিয়ে রয়েছেন গ্রাহকদের একাংশ। ইতিমধ্যেই হুগলির চন্দননগর ডিভিশনের পোলবা এবং ব্যান্ডেল এলাকায় এই স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। চন্দননগর ডিভিশনে ২৮০০ স্মার্ট মিটার বসানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে আগামী দিনে। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এখনো পর্যন্ত ২৭০ টি স্মার্ট মিটার ইন্সটল করার কাজ সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে আপনি ভাবছেন আপনার এলাকায় কবে আসবে এই স্মার্ট মিটার? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্মার্ট মিটার ইন্সটল করার জন্য প্রথম পর্যায়ে সরকারি অফিস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রাহক এবং কমার্শিয়াল গ্রাহক, যাদের পাঁচ কিলো ওয়াটের উপর বিদ্যুৎ-এর লোড রয়েছে, সেই সমস্ত গ্রাহকদের চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গার্হস্থ্য উপভোক্তা অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ঘরে অর্থাৎ পাঁচ কিলো ওয়াটের নীচে যাদের বিদ্যুৎ-এর লোড রয়েছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে নতুন স্মার্ট মিটার ইন্সটল করা হবে। এক্ষেত্রে সময় বেশ কিছুটা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।