পৃথিবীর মায়া কি কাটাতে পারলো আদিত্য এল১! এখন কোথায় রয়েছে ইসরোর সূর্যযান

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাক টু ব্যাক কর্মসূচিতে নেমেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO)। এই মহাকাশ গবেষণাগারের তৃতীয় চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) সফল হওয়ার পরই দেখা যায় সূর্যের বিভিন্ন তথ্য জানতে পাঠানো হয়েছে আদিত্য এল১ (Aditya L1)। আদিত্য এল১ গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরি কোটার স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ করা হয়। এখন প্রশ্ন হল এতদিন কেটে যাওয়ার পর ওই সূর্যযান কোথায় রয়েছে?

২ সেপ্টেম্বর লঞ্চ হওয়ার পর ধাপে ধাপে আদিত্য এল১ এগিয়ে চলেছে সূর্যের l1 কক্ষপথের দিকে। নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাড়ি দিতে ইসরোর এই মহাকাশযানটিকে পাড়ি দিতে হবে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। চাঁদে পাড়ি দিতে যেখানে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল, সেই জায়গায় সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ার এই পথ অনেক। যদিও ইসরো এই প্রজেক্টের জন্য মাত্র ৪০০ কোটি টাকা খরচ করছে। মূলত মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মিশনের সফলতা আনতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা।

ভারতের মহাকাশযান আদিত্য এল১ এই মুহূর্তে চতুর্থ কক্ষপথ বদলের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। পরপর তিনটি কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তনের পর শুক্রবার ভোর বেলায় এই চতুর্থ কক্ষপথ বদলের প্রক্রিয়া শুরু করে। চতুর্থ কক্ষপথ বদলের প্রক্রিয়া শুরু করার আগে এর গতিবেগ আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে ইসরো সূত্রে। পাশাপাশি সময় যত এগিয়ে চলেছে ততই পৃথিবী থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি করছে আদিত্য এল১।

অন্যদিকে পৃথিবীর মায়া কাটাতে মাত্র আর এক ধাপ ভালোভাবে পার করতে হবে আদিত্য এল১ কে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত এবং শুক্রবার ধাক্কা দিয়ে মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর মায়া কাটানোর জন্য শেষ ধাপে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। এরপর আর একবার ধাক্কা দেওয়া হবে আর সেই ধাক্কাতেই আদিত্য এল১ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে চলে যাবে।

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে সূর্যের l1 পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আদিত্য এল১ এর সময় লাগবে আরও চার মাস। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর পর সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করবে সে। অন্যদিকে এই মহাকাশযানটির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে ইসরোর তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে তা হল, ২৫৬ কিমি x ১২১৯৭৩ কিমি। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে করতে যখন এই মহাকাশযানটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে আসছে তখন তার দূরত্ব হলো ২৫৬ কিলোমিটার। অন্যদিকে যখন সবচেয়ে দূরের বিন্দুতে যাচ্ছে তখন তার দূরত্ব হলো ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯৭৩ কিলোমিটার। ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করার শেষ প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ২ টোর সময়।