Defence Mechanisms: বিশ্বের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কোথায় পৌঁছাতে চলেছে চীন, ভারত কি নাগাল পাবে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Defence Mechanisms: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকে চীনের স্থান দ্বিতীয়। তারই মধ্যে সম্প্রতি দুটি নতুন যুদ্ধবিমান প্রকাশ্যে আনলো এই দেশ। আর দুটোই সিক্সথ জেনারেশন ফাইটার জেট, এমনটাই দাবি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। চীনের এই জোড়া যুদ্ধবিমান সামনে আসাতে হতবাক হয়ে গেছে বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর দেশ আমেরিকাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কি বলছে এই ব্যাপারে? মনে করা হচ্ছে যে চীন আগামী ৫ বছরে চারশোরও বেশি সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরি করে ফেলবে। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় তাহলে চীনের সঙ্গে আদৌ কোন দেশ পাল্লা দিতে পারবে কিনা তা সন্দেহ।

Advertisements

চীনকে ইতিমধ্যেই ৪০টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেট কিনতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। চীন পাকিস্তান চুক্তি যেকোনো সময় সম্পন্ন হতে পারে। এটি বাস্তবে সম্পন্ন হলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (Defence Mechanisms) জন্য তা মোটেই সুবিধাজনক হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছে যে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ফাইটার জেট প্রোডাকশন চালিয়ে যাচ্ছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এই রেসে আমেরিকা পর্যন্ত চীনকে হারাতে পারবে না।

Advertisements

পেন্টাগন যদিও বা চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে তবু ভারত কি আদৌ পারবে? এটাই হলো সবথেকে বড় প্রশ্ন। চীনের তুলনায় ভারতের হাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অনেকটাই কম রয়েছে। এই মুহূর্তে চিন সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান নামিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। কিন্তু উল্টো দিকে ভারত এখনও নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় (Defence Mechanisms) ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমানও সামিল করতে পারেনি। রাফাল কিন্তু ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনায় ৪২ স্কোয়াডেন যুদ্ধবিমান প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমানে আছে ৩১ স্কোয়াডেন যুদ্ধবিমান।

Advertisements

ভারতে আগামী দু-তিন বছরে অবসর নিতে চলেছে তিন ডজন মিগ। ফলে ভারতে দেখা দেবে যুদ্ধবিমানের অভাব। তেজস যুদ্ধবিমান যদিও এই ঘাটতি কিছুটা সামাল দেবে তবুও চিন্তা থেকেই যায়। ২০২১ সালে ৮৩টি তেজস মাক ওয়ান এ বিমানের বরাত দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আগে ৯৭টি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই যুদ্ধবিমানগুলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় (Defence Mechanisms) যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো পর্যন্ত হাতে পায়নি। এই যুদ্ধবিমান গুলিতে ইঞ্জিন ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল মার্কিন সংস্থা জিই-এর। তাদের ঢিলেমির কারণেই এই দেরি। তাই কবে তেজসের ডেলিভারি হবে, এই বিষয়ে কারো কোনরকম ধারণা নেই।

আরও পড়ুন: বাবা ভাঙ্গার চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী, মুসলিমদের অবলুপ্তি, অমরত্বের অভিশাপ এবং পৃথিবীর ভয়ংকর পরিবর্তন

সুখোই যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণে দীপাবলির আগেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সবেমাত্র শুরু হয়েছে সেই কাজ। ব্রহ্মস বহন করতে সক্ষম আপগ্রেডেড সুখোই ২০২৭ বা ২০২৮ সাল নাগাদ হয়তো হাতে আসতে পারে। বিদেশি কোম্পানি এখানেই বিমান তৈরি করবে এবং তাতে ভারতীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক – কেন্দ্রীয় সরকারের এটাই নীতি।

এই প্রতিরক্ষা (Defence Mechanisms) নীতি এতদিন কোন সমস্যা সৃষ্টি না করলেও বর্তমানে চীন এবং পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সমস্যায় ফেলছে ভারতকে। মেড-ইন-ইন্ডিয়া নীতি চললেও তার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান অবশ্যই কিনতে হবে। বায়ুসেনা কর্তারাই কেন্দ্রকে সেই সুপারিশ করছেন। যুদ্ধবিমান না বাড়ালে ভারতীয় সেনা শক্তি কখনোই বৃদ্ধি পাবে না। অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা কর্তারা বলেছেন যে, ভারতের সামনে সেরা বিকল্প হলো , এক – আমেরিকার তৈরি এফ-১৬। দুই- রাশিয়ার তৈরি সুখোই-৫৭। ভারত যদি এই মুহূর্তে আমেরিকার থেকে যুদ্ধবিমান কেনে তাহলেও প্রযুক্তি পাওয়াটা খুব কঠিন। রাশিয়া সেই জায়গায় প্রযুক্তি হস্তান্তর করেই সুখোই-৫৭’র চুক্তি করতে তৈরি।

রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রক জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি মজবুত করতে নতুন যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন ও তাঁর বাছাই নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হচ্ছে। যার রিপোর্ট হয়তো বেরিয়ে যাবে ৬ মাসের মধ্যেই। কমিটির সুপারিশ দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নতুন যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে। কিন্তু এই বিভিন্ন কমিটির চক্করে ভারতের নিজস্ব ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্প ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে।

Advertisements