লালু আর বালু, দুজনের মিল কোথায়? জানলে আপনিও ‘থ’ হয়ে যাবেন

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) বাড়িতে হানা দেন ইতি আধিকারিকরা। এরপর দীর্ঘ ২১ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশীর পর রেশন দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার গ্রেফতার হওয়ার পর কি বালু দা নামে পরিচিত এই প্রভাবশালী নেতার সম্পত্তি থেকে শুরু করে নানান ধরনের প্রতিক্রিয়া বয়ে চলেছে রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক মাধ্যমে। ঠিক সেই রকমই এবার লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলেন রাজনীতিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার নাগরিকরা।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তার হওয়ার পরই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে মৌসুমী কয়াল থেকে টুম্পা কয়াল সহ আর একাধিক ব্যক্তিত্ব বালু দার সঙ্গে লালু প্রসাদের মিল তুলে ধরেছেন। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের তরফ থেকেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের দুজনের বিভিন্ন মেলবন্ধন তুলে ধরা হচ্ছে। আসলে লালু প্রসাদের রাজনৈতিক জীবনেও যেমন নানান উত্তপ্ত পরিস্থিতি জড়িয়ে রয়েছে ঠিক তেমনটাই জড়িয়ে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রেও।

আসলে যারা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে তুলনা করছেন তাদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য, ‘পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালু আর মানুষ খাদ্য কেলেঙ্কারিতে বালু’। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের জড়িয়ে পড়া এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি অনেকেরই জানা। ঠিক সেই রকমই এবার মানুষের খাবার অর্থাৎ রেশনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু।

আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির সমস্ত মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির এই মামলা ডোরান্ডা ট্রেজারি কেস নামে পরিচিত। বেআইনি ভাবে ওই ট্রেজারি থেকে ১৩৯. ৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এবং এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব। ভারতের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হিসাবে গণ্য হয়ে আসছে।

ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গের রেশনের খাদ্য সামগ্রী অর্থাৎ মানুষের খাবার নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই দুর্নীতিতে যাদের দিকে আঙুল উঠেছে তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই মামলাতেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।