Cyclone Dana Landfall: ক্রমশ প্রবল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। শনিবার থেকেই উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়া শুরু করেছে। বুধবার থেকে এটি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে শুরু করবে। এখনও ল্যান্ডফল এরিয়া নিশ্চিত বলা না গেলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। এদিন আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখার ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ।
আগামী বৃহস্পতি থেকে শনিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বেড়ে উঠবে নিম্নচাপটি। এর নামকরণ করা হয়েছে ডানা (Cyclone Dana Landfall)! ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদশ বা বাংলাদেশের কোনো উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক মডেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। বাংলায় এর ভয়াবহতা কতটা হবে তা এখনও বলা যাচ্ছেনা তবে রাজ্য-প্রশাসন বিপর্যয় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ জেলা প্রশাসকদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানেই সমস্ত রকম জরুরিকালীন প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই বৈঠকে বিপর্যয় কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলগুলির বাঁধগুলির বর্তমান অবস্থা কেমন রয়েছে তা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। এছাড়া সাধারণ মানুষদের বিশেষ করে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা ও সময় মতো ত্রাণের ব্যবস্থা করার মতো আলোচনাও হয়েছে।
আরো পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, কোথায় হবে ল্যান্ডফল? প্রভাব পড়বে কোন কোন জেলায়?
তবে আন্তর্জাতিক মডেলগুলির তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে শনিবারের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ আকার ধারণ করতে পারে। এবং এর গতিবেগ থাকবে ১২০-১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে কোনো একটি উপকূলে এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। এদিন আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি সোমবারের মধ্যে নিম্নচাপের আকার নেবে এরপর নিজের শক্তি বাড়িয়ে বুধবার অতি গভীর নিম্নচাপের রূপে মায়ানমার বা অন্ধ্রের জন্য উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে (Cyclone Dana Landfall)। যার ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে এবং মৎস্যজীবীদের সেই জন্য গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছেন। অন্যদিকে আরব সাগরেও একটি নিম্নচাপ রয়েছে। যদিও তিনি জানান আরব সাগরের নিম্নচাপটি ক্রমশ বিপরীতে সরে যাবে।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলেও বিকেল থেকে সাইক্লোনের প্রভাবে (Cyclone Dana Landfall) তা বদলাতে শুরু করবে। বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশচিল উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বলে রাখা দরকার দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যের কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল, অন্যদিকে ত্রিপুরাতেও ভয়াবহ বন্যার দেখা মিলেছিল এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে চিন্তায় রাজ্যের মানুষ।