Safe Airplane Seats: বিমানের কোন আসনগুলি তুলনামূলক নিরাপদ, টিকিট কাটার আগে জেনে নিন বিস্তারিত

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Safe Airplane Seats: বিমানের কোন আসনগুলি তুলনামূলক নিরাপদ, টিকিট কাটার আগে জেনে নিন বিস্তারিত। বিমানে চড়তে অনেকেই একটু ভয় পান। কারণ, তারা মনে করেন পরিবহন মাধ্যমগুলির মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি বিমানেরই রয়েছে। বড় কোন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেখান থেকে উদ্ধার পাবার জন্য বিমানের কোন অংশই যে নিরাপদ নয়, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ছোটখাটো সমস্যার জন্য নিরাপদে থাকতে চাইলে বিমানের কোন অংশটিকে বেছে নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়ে চালানো হয়েছিল সমীক্ষা। প্রাপ্ত ফল থেকে বিমানের বেশ কয়েকটি আসনকে নিরাপদ (Safe Airplane Seats) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisements

সবথেকে দ্রুতগামী পরিবহন ব্যবস্থা হল বিমান পরিষেবা। অনেক দূরের পথ অনেক কম সময়ে অতিক্রম করা যায় বিমানে চড়ে। কাজের প্রয়োজনে অথবা ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেকেই এই পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া যায় একাধিক। আর এই দুর্ঘটনার খবর শুনলেই সাধারণের মনে ভয় জাগে। বিমানের যাত্রা করতে রীতিমতো ভয় পান অনেকেই। সমীক্ষা বলছে, গুগল সার্চ করে বিমানে নিরাপদ অংশ খোঁজার চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর সেই জন্যই চালানো হয়েছিল সমীক্ষা। শেষমেষ নিরাপদ বলে নির্দিষ্ট করা গেছে কিছু আসনকে (Safe Airplane Seats)।

Advertisements

ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে ৩৫ বছর ধরে করা হয়েছে একাধিক সমীক্ষা। টাইম ম্যাগাজিনের পাতায় সম্প্রতি এই সমীক্ষাগুলির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিমান সম্পর্কিত নানা তথ্য যাচাই করা হয়েছে সমীক্ষার স্বার্থে। একাধিক দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এতদিক বিবেচনা করে বলা যাচ্ছে বিমানের অন্যান্য অংশের তুলনায় শেষের দিকটা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমানের সামনের অংশ সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝখানের অংশে ঝুঁকির পরিমাণ কিছুটা কম আর শেষের অংশ তুলনামূলক নিরাপদ বলাই ভালো।

Advertisements

আরো পড়ুন: কোন ট্রেন সবথেকে বেশি তেল খরচ করে, যাত্রীবাহী ট্রেন নাকি সুপারফাস্ট

এই পরিকল্পনা বড় কোন দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম নাও হতে পারে। কিন্তু সাধারণ কিছু দুর্ঘটনা যেমন প্লেনে আগুন লেগে যাওয়া বা যান্ত্রিক গোলযোগ প্লেন দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এবং এই ঘটনাগুলি প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানের সামনের অংশটি। প্লেন যদি যেকোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে তাহলে সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিমানের সামনের অংশটি। অনেক সময় ডানায় আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। সেসব ক্ষেত্রে বিমানের মধ্যবর্তী অংশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে বিমানের পিছনের অংশটি তুলনামূলক অনেক বেশি নিরাপদ। তাই বিমানের শেষের দিকের আসনগুলিই সবথেকে নিরাপদ (Safe Airplane Seats) বলা চলে।

আসলে বিমানের আপৎকালীন দরজাটি রয়েছে পিছনের দিকেই। যেকোনো রকম দুর্ঘটনার কবলে পড়লে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ওই দরজাটিকে ব্যবহার করা হয়। আর যারা বিমানের পিছনের দিকের আসন ব্যবহার করছেন তাদের পক্ষে ওই দরজার কাছাকাছি পৌঁছানোটা সবথেকে সহজ। আপনি যদি জানলার দিকে বা অন্য কোন জায়গায় বসেন তাহলে আপনার ওই দরজা পর্যন্ত পৌঁছতে বেশি সময় লাগবে কিন্তু আপনি যদি পিছনের দিকে মাঝামাঝি কোন আসনে বসেন তাহলে তাড়াতাড়ি নিরাপদ জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। সেই কারণেই বিমানের পিছন দিকের মাঝামাঝি অবস্থিত আসনগুলিকে নিরাপদ (Safe Airplane Seats) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওখানে বসলেই আপনার প্রাণের সংশয় একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে বিমান কি ধরনের দুর্ঘটনায় পড়েছে তার উপর নির্ভর করে আপনার বসার আসন কতটা নিরাপদ তা নির্ধারণ করা হয়। তাই বিপদের সময় কোনরকম হঠকারিতা না করে বিমান চালক এবং বিমান কর্মীদের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলা সবচেয়ে বেশি জরুরী। এতে শুধু আপনার নয় আপনার সহযাত্রীদেরও প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা কমবে।

Advertisements