নিজস্ব প্রতিবেদন : সোনা (Gold) এমন এক ধাতু, যার প্রতি খুব কম সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যাদের আকর্ষণ কম। সোনা কেবলমাত্র মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অলংকার তৈরিতেই কাজে লাগে না, বরং সোনা অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজেও ব্যবহৃত হয়। যে কারণে বিশ্বজুড়েই সোনার চাহিদা সব সময় তুঙ্গে থাকতে দেখা যায়। যে কারণেই বছরের পর বছর ধরে সোনার দামে রীতিমতো লম্বা লম্বা ঝাঁপ দিতে দেখা যায়।
আবার সোনা যেকোনো দেশের আর্থিক শক্তির প্রমাণ দেয়। যে দেশে যত বেশি পরিমাণ সোনা মজুত (Gold Reserve) থাকে সেই দেশ আর্থিক দিক দিয়ে ততটাই স্থিতিশীল। যে কারণেই বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশই নিজেদের মজুত সোনার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে লেগে পড়ে উঠে থাকে। খুব আর্থিক সংকট না হলে কোন দেশি নিজেদের স্বর্ণ ভান্ডার কমায় না। সম্প্রতি গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের যে সকল দেশ সোনা কিনেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ভারত।
সম্প্রতি ভারত ব্রিটেনের থেকে ১০০ টন সোনা মজুত ফেরত এনেছে। তবে এই বিপুল পরিমাণ সোনা দেশে ফেরত আনা হলেও ভারত কিন্তু সোনা মজুতের তালিকায় অনেকটাই পিছনের দিকে রয়েছে। বিশ্বে এমনও দেশ রয়েছে যাদের সোনা মজুতের পরিমাণ ভারতের থেকে ১০ গুণ বেশি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের শক্তিশালী কোন দেশে কত পরিমাণ সোনা মজুত রয়েছে? ভারত এই তালিকায় কত নম্বরে স্থান পেয়েছে?
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা মজুত রয়েছে আমেরিকায়। আমেরিকার হাতে মজুত থাকা সোনার পরিমাণ হলো ৮১৩৩.৪৬ টন। মূল্যের দিক দিয়ে বিচার করলে এর দাম দাঁড়ায় ৫৪৩,৪৯৯.৩৭ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৪৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
সোনা মজুতের নিরিখে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। জার্মানিতে মজুত থাকা সোনার পরিমাণ ৩,৩৫২.৬৪ টন, মোট মূল্য ২২৪,০৩২.৮১ মিলিয়ন ডলার।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইতালিতে মজুত রয়েছে ২,৪৫১.৮৪ টন সোনা, যার মোট মূল্য প্রায় ১৬৩,৮৩৮.১৯ মিলিয়ন ডলার।
এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। ২,৪৩৬.৮৮ টন সোনা মজুত রয়েছে ফ্রান্সের কোষাগারে, যার মূল্য ১৬২,৮৪৪.৭২ মিলিয়ন ডলার।
কোষাগারে সোনা মজুদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার কোষাগারে মজুত থাকা সোনার পরিমাণ ২,৩৩২.৭৪ টন, যার মূল্য ১৫৫,৮৮০.০০ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদিত হয়ে থাকে চীনের স্বর্ণ খনি থেকে। তবে চীন কিন্তু নিজেদের কোষাগারে সোনা মজুতের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান দখল করতে পারেনি। তারা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের কাছে মজুত থাকা সোনার পরিমাণ ২,২৩৫,৩৯ টন। যার মূল্য ১৪৯,৩৭৪.৬১ মিলিয়ন ডলার।
কোষাগারে স্বর্ণ মজুতের নিরিখে তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডে মজুত সোনার পরিমাণ ১,০৪০.০০ টন। যার মূল্য ৬২,৫৪৩.৯১ মিলিয়ন ডলার।
তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে জাপান। জাপানের হাতে থাকা মজুত সোনার পরিমাণ ৮৪৫.৯৭ টন। যার মোট মূল্য প্রায় ৫৬,৫৩০.১৫ মিলিয়ন ডলার।
সোনা মজুতের নিরিখে নবম স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের হাতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের পর মজুত থাকা মোট সোনার পরিমাণ ৮২২.৯ টন।
এই তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ড। নেদারল্যান্ডের কাছে মজুত রয়েছে ৬১২.৪৫ টন। যার মূল্য ৪০,৯২৫.৭৭ মিলিয়ন ডলার।