CAA Document: ভারতের নাগরিকত্ব পেতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে, যতটা সহজ ভাবছেন ততটা নয়, রইল তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : এতদিন পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিতে গিয়ে বারবার কেন্দ্র সরকার কিছু পা ঘটেছে অবশেষে সেই পদক্ষেপই তাদের নিতে দেখা গেল সোমবার। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশজুড়ে চালু করে দেওয়া হল সিএএ (CAA) অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯। নতুন এই আইন চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে আবেদনের বন্দোবস্ত করে দিল কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ সহ মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলি থেকে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষেরা খুব সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। কেননা এবার ভারতে পাঁচ বছর বসবাস এবং টানা এক বছর থাকার ফলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। এখন প্রশ্ন হল এই নাগরিকত্বের জন্য কি কি ডকুমেন্ট (CAA Document) জমা দিতে হবে?

ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের https://indiancitizenshiponline.nic.in/ ওয়েবসাইটে থাকা অনলাইনে আবেদনের লিংকে ক্লিক করতে হবে অথবা সরাসরি https://indiancitizenshiponline.nic.in/Login লিংকে ক্লিক করেও অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করার সময় আবেদনকারীর কাছে সক্রিয় একটি মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল আইডি থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথি।

আরও পড়ুন 👉 Details about CAA: চালু হল সিএএ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে ২০১৯ এর পার্থক্য কোথায়!

আবেদনকারীদের কাছে থাকতে হবে তিনি যে দেশ থেকে আসছেন সেই দেশের বৈধ পাসপোর্ট (কোন কোন ক্ষেত্রে পাসপোর্ট না থাকলেও হবে বলেও জানানো হয়েছে।), থাকতে হবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান অথবা বাংলাদেশ থেকে এলে সেখানকার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট, বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র অথবা তাদের ভারতীয় পাসপোর্টের নথি, আবেদনকারীর স্বামী অথবা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা বার্থ সার্টিফিকেট।

এছাড়াও আবেদনকারীকে ভারতের কোন একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে তা প্রমাণের জন্য কোন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র, আবেদনকারীর ভারত হোক অথবা অন্য দেশের স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শংসাপত্র, আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কে অন্তত দুজনকে সার্টিফিকেট দিতে হবে, আবেদনকারীর ভিন দেশ অর্থাৎ যেখান থেকে আসছেন সেই দেশের সরকারি লাইসেন্স থাকলে জমা দিতে হবে, এছাড়াও জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি।