While digging a grave in Panama, gold came out: সোনার খনি আজ পর্যন্ত সিনেমা কিংবা গল্পের বইতেই মানুষ দেখে এসেছে। তবে বাস্তবেও এরকম সম্ভব কিনা জানা নেই। সমস্ত কল্পনাকে পিছনে ফেলে বাস্তব জগতেও সোনার খনি দেখা একেবারে সম্ভব এই কথা আজ প্রমাণিত। সোনার খনির সন্ধান মিলেছে পানামায়। সেখানে একটি কবর থেকে মিলেছে বিপুল পরিমাণ সোনা (Gold in Panama)। কবরের ভিতরে মানব দেহের অবশিষ্টাংশও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে ধরা পড়েছে যে, পানামা সিটি থেকে ১১০ মাইল দূরে এল ক্যানো আর্কিওলজিক্যাল পার্কের ভিতরে হদিস মিলেছে এই সোনার খনির (Gold in Panama)। নিশ্চয়ই এবার জানতে ইচ্ছা করছে কতটা পরিমাণে সোনা আছে তাতে এবং কি কি পাওয়া গেছে ওই কবর থেকে? জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না যে সোনার চাদর থেকে সোনার বেল্ট, গয়না গাটি সবই রয়েছে সেখানে। সেই কবর থেকে পাওয়া গেছে তিমি মাছের দাঁত দিয়ে তৈরি কানের দুল। এছাড়া ব্রেসলেট, মানুষের আঙুল দিয়ে তৈরি আংটি, কুমিরের কানের দুল, ঘণ্টা, কুকুরের দাঁত দিয়ে তৈরি স্কার্ট, হাড় দিয়ে তৈরি বাঁশি ও মাটির থালাবাটি।
প্রত্নতত্ত্ববিদদরা অবশ্য অনুমান করেছেন যে, কোকল যুগের কোনও উচ্চ পদস্থ কর্তার সমাধি দেওয়া হয়েছিল। এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ সোনা গয়না (Gold in Panama)। সাধারণ মানুষের যা কল্পনারও বাইরে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিশাল বড় ওই সমাধিক্ষেত্রে এই সমাধি ছাড়াও আরো ৩২ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন ? Gold Kept Rules: ছেলে ও মেয়েদের জন্য নিয়ম আলাদা আলাদা, জানুন ঘরে কতটুকু সোনা রাখা যায়
এমনটা অনুমান করা হচ্ছে যে প্রাচীনকালে ওই নেতা বা উচ্চপদস্থ কর্তার সমাধির সঙ্গে বাকিদের সমাধি দেওয়া হয়েছিল। কিংবা এমনও হতে পারে যে তাদের বলি দেওয়া হয়েছিল। মোট কতজনকে বলি দেওয়া হয়েছিল, এই ব্যাপারে এখনো সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি। ২০০৮ সাল থেকে এল কানোয় খনন শুরু করা হয়। বাস্তব জগতেও যে এত বিপুল পরিমাণ সোনা (Gold in Panama) মাটির তলায় সমাধির সঙ্গে থাকতে পারে , সত্যি এটি আশ্চর্য ব্যাপার।
এই সমাধির ব্যাপারে কি বলেছে পানামার সংস্কৃতি মন্ত্রক? তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এটি হলো অমূল্য সম্পদ। এর মূল্য কোনভাবেই আন্দাজ করা সম্ভব নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, ৭৫০ শতাব্দীতে এই সমাধি তৈরি করা হয়েছিল। সাধারণত এই ধরনের সমাধি সমাজের উচ্চ-পদস্থ কর্তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে একজন মহিলার দেহ, তার উপরে পুরুষের মৃতদেহ মুখোমুখিভাবে শোয়ানো হত। সেই সময়ে এমনটাই রীতি ছিল কবর দেওয়ার। কোনও নেতা বা উচ্চপদস্থ কর্তার মৃত্যুর পর যাদের বলি দেওয়া হত, তারা যাতে পরবর্তী জীবনে সেই ব্যক্তির সঙ্গেই থাকতে পারে এমনটাই ধারণা করা হতো।