নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন ব্যবস্থা নিয়ে নানান অভাব অভিযোগ রয়েছে রাজ্য ও দেশের অজস্র বাসিন্দাদের। আগে ছিল পুরাতন রেশন কার্ড, এখন তা বদলে হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড। কিন্তু এই পুরাতন রেশন কার্ড থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড করার জন্য আবেদন করতে হয়, তারপরেই রেশন কার্ড ডিজিটাল রেশন কার্ডে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অনেকেই নিজেদের রেশন কার্ড ডিজিটাল করার জন্য আবেদন করতে পারেননি। আবার অনেকে আবেদন করেছেন অথচ ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পাননি। আর ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকার দরুন পাচ্ছেন না রেশনের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী।
দীর্ঘদিনের লকডাউনের জেরে গৃহবন্দী বেশিরভাগ মানুষেরই এখন টান পড়ছে। যে কারণে প্রত্যেকের হাতে রেশনের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত পরিবারের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, যারা ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেননি, এমনকি যাদের ন্যূনতম ফুড কুপনটুকুও নেই, তারাও যদি রেশনের খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে চান তাহলে পাবেন। অর্থাৎ পুরাতন কার্ড থাকলেও মিলবে রেশনের সুবিধা। এবিষয়ে রাজ্য খাদ্য দপ্তর খুব তাড়াতাড়ি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। আর সেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল পাওয়া যাবে বিনামূল্যে।
কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে এই কাজ করা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আর বাকি জেলাগুলির ক্ষেত্রে জেলাশাসকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগ্রহী মানুষেরা যাতে আবেদন করতে পারে তার জন্য অ্যাপ তৈরি করার। আর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, “যাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই আবার ফুড কুপনও পাননি সেই সকল মানুষদের জন্য শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। প্রতিটি জেলার জেলাশাসকরা এই প্রক্রিয়াটি দেখবেন।”
সূত্র মারফত যেটুকু জানা গিয়েছে তা হল, যে অ্যাপের কথা বলা হয়েছে সেই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন সেই সকল আগ্রহী উপভোগক্তারা যারা এখনো পর্যন্ত হাতে কোনরকম ডিজিটাল রেশন কার্ড, ফুড কুপন পাননি। যাদের কাছে রয়েছে কেবলমাত্র পুরাতন রেশন কার্ড। তারা আবেদন করতে পারবেন মহকুমাশাসক, ব্লক আধিকারিক, পৌরসভার বরো অফিস ইত্যাদিতে। তারপর তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা রেশন তোলার ক্ষেত্রে অনুমতি দেবেন।