BJP Candidate Debasish Dhar: বাম ছাত্রনেতা থেকে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী! সিউড়ির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক, কতটা চেনেন দেবাশীষ ধরকে!

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি নেতাদের তরফ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর নামে চমক থাকবে। শেষমেষ শনিবার বিজেপির তরফ থেকে বীরভূম লোকসভা (Birbhum Lok Sabha) কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের (BJP Candidate Debasish Dhar) নাম ঘোষণা করা হয়। দেবাশিস ধরের নামে চমক কতটা রয়েছে তা বলবে ভবিষ্যৎ। তবে বিজেপির এই প্রার্থীকে নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।

বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তা অনেকেই জানেন। তিনি শিরোনামে এসেছিলেন ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়। যে সময় তিনি কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন। যে সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তবে দেবাশিস ধরের পরিচয় কিন্তু এই গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

পুলিশ কর্মী হিসেবে দেবাশিস ধরের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল সিউড়ি থেকেই। সময়টা ছিল ২০০৬ সাল। এছাড়াও তিনি অত্যন্ত মেধাবী একজন পড়ুয়া ছিলেন। মেধাবী পড়ুয়া থাকার পাশাপাশি ছাত্র জীবনেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে সে সময় তিনি বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশে নিযুক্ত হওয়ার আগে আবার তিনি জয়েন্ট বিডিও হিসাবেও কাজ করেছেন। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি জয়েন্ট বিডিও ছিলেন বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাঁটি ও গলসি-২ ব্লকে।

আরও পড়ুন 👉 Kalyan Banerjee’s Viral Video: ‘আমাকে কী ভাবেন!’ আঙুল উঁচিয়ে মহিলা সাংবাদিককে ধমক, ভাইরাল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কীর্তি

পরবর্তীতে ২০০৪ সালে তিনি পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে দেবাশিস ধরের সঙ্গে সিউড়ির সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সেই সময় বীরভূম জেলা পুলিশের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার হিসেবে সিউড়িতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বোলপুরের এসডিপিও হন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একজন পুলিশ কর্মী হিসাবেই তিনি বীরভূমে কাটিয়েছেন। অন্যদিকে এরপর বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১০ ব্যাচ থেকে তিনি আইপিএস অফিসার হয়েছিলেন। তবে ৪৭ বছর বয়সি এই আইপিএস অফিসার শীতলকুচির ঘটনার পর সাসপেন্ড হন। এছাড়াও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে দেবাশিস ধর আবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির স্ক্যানারেও পড়েছিলেন। তার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তার সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল কয়েকগুণ বলেই অভিযোগ। আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির সেই মামলা এখনো মেটেনি। এরই মধ্যে তার দীর্ঘদিন ধরে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে থাকার মধ্যেই সমাজসেবা করার ইচ্ছে জন্মায় এবং বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে তাকেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের জন্য। এবার তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই তিন তিনবার জয়যুক্ত হওয়া সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে।