BCCI Founder: বিসিসিআই হলো বর্তমানে বিশ্বের সবকটি ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসির আয়ের একটা বড় অংশ আসে এই বিসিসিআইয়ের থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড না থাকতো তাহলে বিশ্বের ক্রিকেট মহলকে সবথেকে খারাপ দিন দেখতে হতো। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নির্ভর করেই চলছে বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো। কিন্তু ভারতের এই উত্থানের পিছনে আসল অবদান কার জানেন কি তা? তিনি হলেন মহারাজ ভূপিন্দর সিং ।
আজকের প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন তার আসল পরিচয় সম্পর্কে। পাতিয়ালার মহারাজ ভূপিন্দর সিং (BCCI Founder) তার বিভিন্ন রকম শখের জন্য ছিলেন বরাবরই খবরের শিরোনামে। তার একাধিক শখের জন্য ইংরেজ শাসকরা তাকে নিয়ে সর্বদাই আলোচনা করতেন। ১৮৯১ সালে ভূপিন্দর সিং মাত্র ৮ বছর বয়সে রাজত্ব লাভ করেন। পরিবারের মধ্যে তিনি সব থেকে বেশি খরচ করতেন এমনটাই শোনা গেছে। পাতিয়ালা পেগ এবং পাতিয়ালা নেকলেস আসে তাঁর হাত ধরেই। ল্যারি কলিন্স ও ডমিনিক ল্যাপিয়ের তাঁদের ফ্রিডম অ্যাট মি়ডনাইট বইতে উল্লেখ করেছেন, ভূপিন্দর সিং বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি নানারকম খাবার খেতেও পছন্দ করতেন।
তার (BCCI Founder) ডায়েটের কথা শুনলে অবাক না হয়ে পারবেন না। দুটো মুরগির মাংস জলখাবারে একাই শেষ করে দিতে পারতেন তিনি। দৈনিক তিনি ৯ কেজি খাবার খাওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। শোনা গেছে তিনি খুব সৌখিন মানুষ ছিলেন। তিনি মোট ৩৫০ জন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এবং ৮৮ জন সন্তানের বাবা ছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র ১০ জন মহিলাকে তিনি বিবাহ করেছিলেন। এমনকি একজন ব্যক্তিগত প্লাস্টিক সার্জেনকেও তিনি নিযুক্ত করেছিলেন। যার কাজ ছিল মহারাজের পছন্দ অনুযায়ী তাঁর স্ত্রীদের মুখে পরিবর্তন করানো। তারই অদ্ভুত শখ সত্যিই অবাক করে দেয় মানুষকে।
আরো পড়ুন: এবার গুজরাটকে টক্কর দেবে মুম্বাই, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে ছাপিয়ে যেতে পারে এমসিএর নতুন পরিকল্পনা
বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং নানা রকমের খাবার দাবার তার যেমন পছন্দের ছিল তেমনি তিনি ক্রিকেট ভালোবাসতেন মন প্রাণ দিয়ে। এ কথা সত্য যে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের জন্ম হয়েছিল কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বে ভারতের দাদাগিরি আসলে এর হাত ধরেই এসেছে। বিসিসিআইয়ের সহ প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ভারতের ক্রিকেট দলকে নেতৃত্বও দেন তিনি (BCCI Founder)।
ভূপিন্দর সিং ১৯১১ সালে ইংল্যান্ডে সিরিজ় খেলতে ভারতের যে দল গিয়েছিল তার অধিনায়ক ছিলেন। প্রথম শ্রেণীতে তিনি ২৭টা ম্যাচ খেলেন ১৯১৫ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত। ১৯২৬ ও ২৭ মরসুমে তিনি এমসিসির সদস্য ছিলেন। ১৯৩২ সালে তাঁকে ইংল্যান্ড টেস্ট সফরের আগে অধিনায়ক বাছা হয়, কিন্তু এই সফরে অসুস্থ থাকার কারণে তিনি খেলতে পারেননি।