মমতার সিলেকশন বাজিমাত, জানুন একুশের মঞ্চের সুপারহিট রাজন্যার আসল পরিচয়

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের মঞ্চ অর্থাৎ তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চের প্রথম সারিতে জায়গা পাওয়া প্রতিটি তৃণমূল নেতাদের স্বপ্নের মত। দূরদূরান্ত থেকে ওই দিন নেতাকর্মীরা এলেও বক্তব্য রাখা তো দূরের কথা অনেকেই মঞ্চে জায়গাই পান না। কারা মঞ্চে জায়গা পাবেন এবং কারা বক্তব্য রাখবেন তা ঠিক করে দেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।

Advertisements

একুশের মঞ্চে যেখানে নেতা নেত্রীদের জায়গা পাওয়াই স্বপ্নের বিষয় সেই জায়গায় এবার বক্তব্য রাখার সুযোগ পেতেই লাইমলাইটে আসেন তরতাজা এক যুবতী। যে যুবতী হলেন রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)। তিনি এইভাবে লাইমলাইটে আসার পরই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরই প্রশ্ন কে এই যুবতী? কিভাবে এত বড় মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলেন?

Advertisements

সোনারপুরের বাসিন্দা রাজন্যা হালদার ছিলেন প্রেসিডেন্সির একজন পড়ুয়া। প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক হওয়ার পর এই মুহূর্তে তিনি phd করছেন। রাজন্যার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে পা রাখা হলো ২০১৭ সালে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজন্যা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল ছাত্র যুব সংগঠনের সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। এই রাজন্যা হঠাৎ করেই রাজনীতিতে যোগ দেননি। বরং তিনি রাজনৈতিক পরিবেশ থেকেই উঠে আসা একজন যুবতী।

Advertisements

রাজন্যার দাদু এবং বাবা দুজনেই ছিলেন কংগ্রেস নেতা। তার বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র নির্বাচনে তিনি দুবার জয়ী হন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। পরবর্তীতে রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলায় এবং তারপর তৃণমূলে যোগ দেওয়া। তার হাত ধরেই প্রেসিডেন্সিতে গড়ে ওঠে ছাত্র পরিষদের সংগঠন এবং তখন থেকেই তিনি আলাদাভাবে পরিচিতি লাভ করেন।

এছাড়াও রাজন্যা খুব ভালো গান করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি জয়ী ব্যান্ডের অন্য একজন সদস্যা তিনি। এসবের মধ্য দিয়েই রাজন্যা হালদার তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং এই বছর একুশে জুলাই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। একুশে জুলাইয়ের মতো মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেতেই এতোটুকু সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। তার ঝাঁঝালো বক্তব্যে শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে মঞ্চের সামনে বসে থাকা কর্মী সমর্থকরা হাততালি দিতে ভোলেননি।

Advertisements