দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুর্নীতিতে যখনই কারো নাম জড়িয়েছে তখনই তার নামে অথবা তার ঘনিষ্ঠদের নামে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। নামে বেনামে এমন সম্পত্তির হদিসের তালিকায় আমরা দেখতে পেয়েছি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রেও। আর এবার সেই একই ঘটনা দেখা গেল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ক্ষেত্রেও।
আরজি কর কাণ্ডের পর সিবিআই তদন্তে নেমে টানা কয়েক দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয় দুর্নীতি কাণ্ডে। দুর্নীতি কাণ্ডে যখন সন্দীপ ঘোষ সিবিআইয়ের জালে সেই সময় আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে দু’নম্বর ব্লকের নারায়ণপুরে একটি বিলাসবহুল ভিলার হদিস পাওয়া যায়। যে ভিলার নাম সঙ্গীতা সন্দীপ ভিলা (Sangita Sandip Villa)।
কয়েকশো বিঘা জমি এই ভিলাটিকে ঘিরে রয়েছে। টাকার অংকের হিসেব পাওয়া না গেলেও কত দাম দাঁড়াতে পারে তা আন্দাজ করতে পারেন যে কেউ। তবে জানলে অবাক হবেন, এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি আর ভিলার মালিক মুখে মুখে সন্দীপ ঘোষ শোনা গেলেও কিন্তু তা নয়। ওই ভিলার মালিক কে তা সম্পর্কে এবার যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে অনেক প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
ক্যানিংয়ে যে জেলা রয়েছে সেই ভিলায় নামিদামি গাড়ি নিয়ে সন্দীপ ঘোষ এবং তার পরিবারের সদস্যদের আনাগোনা ছিল বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে। তবে ওই ভিলাতে তারা কোনদিন রাত কাটান নি। সকাল দিকে আসতেন আর দিনভর সেখানে সময় কাটানোর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া চলত। এরপর ঠিক সন্ধে নামলেই তারা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়তেন। ক্যানিংয়ের মত এলাকায় এমন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিসের পরিপ্রেক্ষিতে এখন নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে।
ক্যানিংয়ে থাকা ওই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির নামকে বাসতা মালিক সন্দীপ ঘোষ হলেও কিন্তু তা রয়েছে তার স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের নামে। এমন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সমস্ত কাগজপত্র সঙ্গীতা ঘোষের নামে। অন্যদিকে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সঙ্গীতা ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, কোথাও কোন রকম কাগজপত্র পায়নি। এছাড়াও তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।