করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় আরও দুটি ওষুধের ব্যবহার, সুপারিশ দিলো WHO

SHARMISTHA CHATTERJEE

Updated on:

Advertisements

শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : করোনা সংক্রমণের হার যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। সারা দেশ তথা রাজ্যের মানুষরা বর্তমানে করোনা ত্রাসে কাঁপছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর সাথে নয়া উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়েছে ওমিক্রন। দুই প্রজাতি মিলে বিপাকে ফেলেছে বিশেষজ্ঞ তথা চিকিৎসকদের।

Advertisements

চরম দুশ্চিন্তার মধ্যেও গবেষকদের কিন্তু গবেষণার শেষ নেই, অবিরত নিত্য নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনা রোগীদের চিকিৎসার স্বার্থে দুটি ওষুধ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

Advertisements

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা দুটি ওষুধ হলো, অধিক গুরুতর আক্রান্ত রোগীদের জন্য, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ বারিসিটিনিব। অপরদিকে অপেক্ষাকৃত কম সংক্রামিত রোগীর জন্য সোট্রোভিমাব ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।

Advertisements

একে তো করোনার প্রকোপ তার সাথে আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সাবধান করা হয়েছে বসন্তকাল সামনে আসার জন্য এই সময়ে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময় নতুন দুটি ওষুধ ভীষণ ভাবে কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক, মারিয়া ভ্যান কেরখোভ কিছুদিন আগেই এক বৈঠকে এই কথা সামনে এনেছিলেন যে এই সময় ইনফুয়েঞ্জার প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। এর সাথে সাথে হু এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোসের মতে, ওমিক্রনের সংক্রমণ অধিক হলেও মৃত্যুর হার যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে, যথেষ্ট টিকাকরণের অভাব। সারা বিশ্বে বহু মানুষ এখনও টিকাকরণ যাঁদের হয়নি সেই কারণে সংক্রমণের হার এত দ্রুত।

আফ্রিকাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পর্যন্ত নেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশই করোনার টিকা না নেওয়া রোগী। তাই আরও অধিক পরিমাণে টিকাকরণে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

Advertisements