Salary of Amitabh Bachchan in Don: “ডন” (Don) সিনেমাটি যেমন অমিতাভ বচ্চন এর জীবনে একটা বড় প্রাপ্তি, তেমনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও বড় রকম লাভের মুখ দেখিয়েছিল এই সিনেমাটি। যেদিন এই সিনেমাটি রিলিজ করে রীতিমত বক্স অফিসে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। জানলে অবাক হবেন মাত্র ৭০ লক্ষ টাকার বাজেটের এই সিনেমাটি লাভ করে এনে দিয়েছিল ৭ কোটি টাকা। এত ভালো ব্যবসা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে সত্যি খুব লাভজনক হয়েছিল। সেই সত্তরের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান যুগেও এই সিনেমার ডায়লগ যথেষ্ট জনপ্রিয়। সিনেমাটির ডায়লগ থেকে শুরু করে সবকিছু আজও একফোঁটাও ম্লান হয়নি। শুটিং চলাকালীন বহু মজাদার ঘটনা ঘটেছিল।
যে সময় “ডন” (Don) সিনেমাটি হয়েছিল অমিতাভ বচ্চন ততদিনে সুপারস্টার হয়ে গেছেন। এত বড় বিখ্যাত এবং গগনচুম্বি স্টার অবশ্যই বড় রকমের পারিশ্রমিক চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক। এই সিনেমাটিতে অমিতাভ বচ্চন দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে অমিতাভ বচ্চনের তুলনায় অনেক বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন অভিনেতা প্রাণ।
একটি রিপোর্টের সূত্রে জানা যায় যে, এই সিনেমাতে অমিতাভ বচ্চনের পারিশ্রমিক ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। জানলে অবাক হবেন “ডন” (Don) সিনেমাতে প্রাণের পারিশ্রমিক ছিল অমিতাভ বচ্চনের দ্বিগুণ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অমিতাভ বচ্চনের অনেক বছর আগে থেকেই রাজত্ব করছেন অভিনেতা প্রাণ। তাই স্বাভাবিকভাবেই তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ নেই।
তাই সাধারণভাবেই একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ অভিনেতা হিসাবে অমিতাভের থেকে অনেক বেশি পারিশ্রমিক পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন প্রাণ। সিনেমাটিতে প্রাণের চরিত্রটি হল খোঁড়া। কিন্তু সেরকম ভাবে ছবিটি সাজানো হয়নি। কেনো রাতারাতি বদলে গেল স্ক্রিপ্ট? এর পেছনেও লুকিয়ে আছে বহু মজাদার কাহিনী। আসলে ছবির শুটিং চলাকালীন পায়ে চোট পেয়েছিলেন প্রাণ।
পায়ে চোট পাওয়ার কারণে অভিনেতা প্রাণ ঠিকমতো চলতে পারছিলেন না। সেই কারণেই ছবির ডিরেক্টর পাল্টে ফেলেন ছবির স্ক্রিপ্ট। যাতে শুটিং চলাকালীন কোনো রকম সমস্যা না হয় সেই জন্যই এরকম পদক্ষেপ। অভিনেতা প্রাণ পায়ে চোট নিয়েও নিজের সবটুকু উজাড় করে দেন সিনেমাতে। ছবিটির বক্স অফিসের সাফল্যর পেছনে অভিনেতা প্রাণের ভূমিকা অতুলনীয়।