নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha election 2024) দামামা ইতিমধ্যেই বাজতে শুরু করে দিয়েছে। অন্ততপক্ষে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে নিজেদের এক ছাদের তলায় আনার তোড়জোড় শুরু করেছেন তাতেই স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে I.N.D.I.A. নামে একটি ফ্রন্ট তৈরি করা হয়েছে এবং সেই ফ্রন্টের আগামী দিনের লক্ষ্য স্থির করার জন্য তিন তিনটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে।
এখন I.N.D.I.A. জোট যদি আগামী লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই NDA জোটের তুলনায় এগিয়ে থাকে তাহলে তারাই সরকার গড়বে। তাদের সরকার গঠন হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)? প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাকে চাইছে I.N.D.I.A. তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেই সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কে এগিয়ে রয়েছেন I.N.D.I.A. জোটে তা সামনে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর তালিকায় রাহুল, মমতা, কেজরিওয়াল প্রত্যেকেই জনপ্রিয়তায় খামতি রাখেননি।
এখনো পর্যন্ত I.N.D.I.A. প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম প্রকাশ করা না হলেও এই বিষয়ে এবিপি নিউজ এবং সি-ভোটার যৌথভাবে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সর্বভারতীয় এই সমীক্ষায় সবার আগে রয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। I.N.D.I.A. জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং জয়লাভ করলে রাহুল গান্ধীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন ২৯ শতাংশ মানুষ। রাহুল গান্ধীর উপর এই ভরসা রীতিমত কংগ্রেসকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় মাইলেজ দিল।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ৯ শতাংশ মানুষ যারা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন। এই সকল মানুষেরা I.N.D.I.A. জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চাইছেন। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন জোট সঙ্গী রাজনৈতিক দলগুলির আরও বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতার মুখ।
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল এবং তৃণমূল প্রেমীদের বড় আশা থাকলেও সমীক্ষায় কিন্তু আশাজনক ফলাফল উঠে আসেনি। বরং ৬% মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তার থেকে এগিয়ে রয়েছেন নীতিশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরে। কেননা ৩ শতাংশ মানুষ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই তালিকায় একই সারিতে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। আবার এই সমীক্ষায় ৪ শতাংশ মানুষ বলেছেন জানেন না এবং ৪০ শতাংশ মানুষ বলেছেন এদের মধ্যে কেউ নয়।