নিজস্ব প্রতিবেদন : গোঁজ প্রার্থী নামটি পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) এলেই সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয়, পৌরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মাঝে মাঝে গোঁজ প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া যায়। তবে সেই সংখ্যাটা পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় অনেক কম। বিধানসভা ভোটেও এখন আর সেই ভাবে গোঁজ প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া যায় না।
গোঁজ প্রার্থীর নামটি শুনে থাকলেও কিভাবে এমন নাম এলো অথবা তাদের গোঁজ প্রার্থী বলা হয় তা সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই কৌতুহল রয়েছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে যে সকল প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন এবং দলকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেন তাদের গোঁজ প্রার্থী বলা হয়।
ধরে নেওয়া যাক কোন একটি জায়গায় দল কোন এক ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। অর্থাৎ ওই ব্যক্তি দলের প্রতীক পেয়েছেন। কিন্তু কোন একজন ব্যক্তি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারার ফলে নিজে অন্য কোন প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। অর্থাৎ একই দলে থেকে দলের প্রতীক না পাওয়াই অন্য কোন প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ধরনের প্রার্থীকে গোঁজ প্রার্থী বলা হয়।
গোঁজ প্রার্থীদের নিয়ে আরও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষদের মনে। যেমন পঞ্চায়েত ভোটেই কেন গোঁজ প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে? এর কারণ হলো পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীদের অনেক কম টাকা দিতে হয়। আর তার থেকেও বড় কথা হলো, পঞ্চায়েত ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার জন্য প্রস্তাবক হিসাবে মাত্র একজন হলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায়।
এর পাশাপাশি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, শাসক দলের ক্ষেত্রেই গোঁজ প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে। এর পিছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম কারণ হলো শাসক দলের প্রার্থীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভের সবচেয়ে বেশি প্রবণতা থাকে। এছাড়াও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছোট ছোট এলাকায় নিজেদের আধিপত্য থাকলেই হয়। সুতরাং গোঁজ প্রার্থীরা বহু ক্ষেত্রেই যে কোন রাজনৈতিক দলেরই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান।