নিজস্ব প্রতিবেদন : গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৪ জুলাই শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণ করা হয়। সফল উৎক্ষেপণের পর LMV 3 রকেট সেই চন্দ্রযান চাঁদের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। মাত্র ৪৫ মিনিটে চন্দ্রযানকে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করে দেয় ইসরো (ISRO)। তবে এখনই চন্দ্রযান ৩ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে না। অবতরণ করতে সময় লাগবে অন্ততপক্ষে ৪০ দিন।
ইসরোর তরফ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ অথবা ২৪ আগস্ট চন্দ্রযান ৩ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। এর আগে কোন চন্দ্রযান চাঁদে পৌঁছাতে এত সময় নেয়নি। এমনকি নাসার অ্যাপেলো চাঁদে পৌঁছে ছিল মাত্র চার দিনে। তাহলে কেন ইসরোর চন্দ্রযান ৩ ৪০ দিন সময় নিচ্ছে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে?
ইতিহাসের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যাবে নাসার অ্যাপোলো ছাড়াও চীনের চ্যাংই ২ ২০১০ সালে চাঁদে অবতরণ করতে সময় নিয়েছিল ৪ দিন। সব থেকে কম সময়ে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছেছিল সোভিয়ত ইউনিয়নের চন্দ্রযান লুনা ১। এই চন্দ্রযান সময় নিয়েছিল মাত্র ৩৬ ঘন্টা।
এক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩ এর এত বেশি সময় নেওয়ার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চন্দ্রযান ৩ কে সরাসরি চাঁদের পথে ঠেলে দেওয়ার মতো শক্তিশালী রকেট ইসরোর হাতে নেই। অ্যাপেলো মিশনের ক্ষেত্রে নাসা ট্রান্সলুনার ইনজেকশন ব্যবহার করেছিল। যে ক্ষেত্রে প্রথমে পৃথিবীর কক্ষপথে যায় মহাকাশ যানটি। সেখান থেকে চাঁদের দিকে পাঠানোর জন্য শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক পন্থা ব্যবহার করা হয়। যা মহাকাশযানটিকে সরাসরি এলটিটির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
এছাড়াও চন্দ্রযান ৩ একেবারেই অন্য গতিপথ অনুসরণ করছে। ইঞ্জিন বার্নের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মহাকাশযানটির গতি বাড়বে। এই মহাকাশযানটি পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার জন্য তা চূড়ান্ত একটি ইঞ্জিন বার্ন করবে। এক্ষেত্রে ইসরো পৃথিবী এবং চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে। এর আগে কোন চন্দ্রযান এই মেরুতে অবতরণ করেনি।