১৪ বছর ধরে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি তিনি। বিশ্বসেরা ধনকুবেরদের তালিকাতেও গত একদশক ধরে প্রথমসারিতে। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) গড় দৈনিক আয় ১৭০ কোটি টাকা। মোট সম্পদের পরিমাণ ৭,১৮,০০০ কোটি টাকা। সেই আয় ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মালিকের এমন উপার্জন হলে তার কর্মচারীদের বেতনও যে আকর্ষণীয় হবে সেটাই স্বাভাবিক।
এই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (Relience Industries Limied) প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা বা সিএফও (CFO) হলেন অলোক আগরওয়াল (Alok Agarwal)। তিনি ২০০৫ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে সিএফও হন। এবং প্রতি মাসে বেতন হিসেবে পান কয়েক কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, অলোক আগরওয়াল তার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্টের জন্য আইআইএম-আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন। তিনি আইআইটি-কানপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেছেন।
অলোক আগরওয়াল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে যোগদানের আগে ১২ বছর ধরে ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারপর ১৯৯৩ সালে অলোক আগরওয়াল রিলায়েন্সে কোষাধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। তখন থেকেই তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর আর্থিক সংস্থান, ব্যাঙ্কিং সম্পর্ক লেনদেন পরিচালনা করতেন।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ সালের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ইন্টিগ্রেটেড বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, অলোক আগরওয়ালকে বেতন হিসাবে ১২ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এবার ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২-এ দায়ের করা কর্পোরেট শেয়ারহোল্ডিং অনুযায়ী তিনি ৩৯৪.৩ কোটি টাকার শেয়ারের মালিক।
প্রসঙ্গত মুকেশ আম্বানির ₹১৫ কোটির বার্ষিক পারিশ্রমিকের মধ্যে বেতন ₹৪.৩৬ কোটি এবং অন্যান্য ভাতা ₹৪০ লাখ, অবসরকালীন সুবিধা ₹৭১ লাখ এবং কমিশন ₹৯.৫৩ কোটি। ২০০৮-০৯ থেকেই নিজের বেতন বেঁধে দিয়েছেন চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ম্যানেজমেন্টের অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টিতেই এই সিদ্ধান্ত তার। এদিকে মুকেশের স্ত্রী নীতা আম্বানি (Non-Exicutive director of Board) ₹৭ লাখ বেতন পান। গত বছর থেকে যার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এছাড়াও কমিশন বাবদ ₹১.১৫ কোটি পেয়েছেন নীতা আম্বানি (Nita Ambani)।