নিজস্ব প্রতিবেদন : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সলমন খান ৫০ পেরিয়েও আজ চিরকুমার। দাবাং খ্যাত এই অভিনেতা প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ম্যায়নে প্যায়র কিয়া চলচ্চিত্রে, ব্যবসা সফল এই ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান অভিনেতা।
তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি সলমন খানকে, একটার পর একটা সুপারহিট সিনেমা করে তিনি হয়ে উঠেছেন বলিউডের ভাইজান। পর্দায় তার উপস্থিতিই ভক্তদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে এক উন্মাদনা আর সলমন খান হয়ে উঠেছেন বক্স অফিস হিট অভিনেতা।
বি-টাউনের মোস্ট পপুলার লাভার বয় সলমন খান বিয়ে না করলেও জীবনে বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। একাধিকবার সল্লু ভাইয়ের জীবনে প্রেম এসেছে, কখনো ঐশ্বর্য রাই তো কখনো ক্যাটরিনা কাইফের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
যদিও সেই সব প্রেমের কোনোটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবুও বলা হয় যে এই সকল প্রেমিকাদের মধ্যে কারোর প্রতি গভীর প্রেমের কারণেই চিরকুমার রয়ে গিয়েছেন সল্লুভাই আর সেই তালিকায় রাই সুন্দরীর নামটিই বারবার উঠে আসে।
তবে অনুরাগীরা যাই বলুক সল্লু ভাইয়ের অবিবাহিত থাকার পিছনের কারণটা কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য। সল্লু ভাই কেন অবিবাহিত এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই একটি শোতে গিয়ে দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তার জীবনে যখন তিনি বিয়ের কথা ভাবছেন, তখনই দুটি বড় মামলাতে ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনি আর সেখান থেকেই তার বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত।
ইন্ডিয়া টিভিতে ‘আপকি আদালত’ নামের একটি অনুষ্ঠানে সলমন খান নিজের মুখেই বলেছিলেন তার বিয়ে না করার কারণ। সল্লু ভাইয়ের কথায়, “একটা সময় এমন এসেছিলো, যখন বাড়ির লোকেরা আমার বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে কিন্তু তখন আমি ভাবি যদি কোনো কারণে আমার জেল হয়ে যায় তখন আমার ছেলে মেয়েদের মনে তার বাবার সম্পর্কে কি মনোভাব তৈরি হবে? আর আমি যদি নিজে জেনে বুঝে তাদের এই অবস্থার মধ্যে ফেলি তাহলে স্ত্রী এবং সন্তানেরা আমার সম্পর্কে কী ভাববে? বিয়ের পর যদি আমার জেল হতো তাহলে আমার পরবর্তী প্রজন্মকে একটা মানসিক ধাক্কার মধ্যে দিয়ে যেতে হতো? এটা কি ঠিক হতো?সেটা অন্যায় হতো।”
হ্যাঁ, নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে আইন সংক্রান্ত ঝামেলার মধ্যে জড়াতে চান নি বলেই তিনি বিয়ে করেন নি। প্রসঙ্গত, সলমন খানের জীবনের দুটি বড় মামলা হলো মুম্বই হিট অ্যান্ড রান ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি কৃষ্ণ সার মৃগ হত্যা।