নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ রেল পরিষেবার ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর এমন ভর করে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে বহু কিছু নজরে আসে যেগুলি বেশ কৌতূহলের। ঠিক সেই রকমই একটি কৌতূহলের বিষয় হল, কিছু রেলস্টেশনের নামের পাশে দেখা যায় PH (PH Railway Station) লেখা রয়েছে। কিন্তু এমনটা কেন লেখা থাকে তা অধিকাংশ যাত্রীরাই জানেন না।
ভারতীয় রেলের রেলস্টেশন হল যাত্রীদের ওঠানামার জন্য। যে সকল রেলস্টেশনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেন দাঁড়ায় এবং যাত্রীরা উঠানামা করেন। যাত্রীদের যাতে টিকিট কাটা থেকে অন্যান্য কোন ক্ষেত্রে অসুবিধা না হয় তার জন্য এই সকল রেল স্টেশনে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে রেলের তরফ থেকে। তবে এসব গেল সাধারণ রেলস্টেশনের কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে PH কেন লেখা থাকে কিছু কিছু রেলস্টেশনের নামের পিছনে?
PH কথাটির ফুল ফর্ম প্যাসেঞ্জার হল্ট। যে সকল রেলস্টেশনের নামের পিছনে পিএইচ লেখা রয়েছে সেগুলি আসলে মেসেঞ্জার হল্ট বা হল্ট স্টেশন। শুধু নামের ক্ষেত্রে একটি করে পিএইচ জুড়ে দেওয়া হয়েছে তা নয়, এর পাশাপাশি সাধারণ রেলস্টেশনের তুলনায় পিএইচ রেলস্টেশনের অনেক পার্থক্য রয়েছে। সেই সকল পার্থক্য সম্পর্কেও আবার অনেকে জানেন না।
সাধারণ রেলস্টেশনে সিগন্যাল থেকে শুরু করে লুপ লাইন থাকলেও পিএইচ রেলস্টেশনে কোন সিগন্যাল অথবা লুপ লাইন থাকে না। হল্ট রেলস্টেশনে একটি ট্রেন সর্বাধিক দু’মিনিটের জন্য দাঁড়াতে পারে। তবে সেখানে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে পুনরায় যাত্রা শুরু করার সবকিছুই করতে হয় লোকো পাইলটকে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে। তাকে বলে দেওয়ার মতো কোনো রেল কর্মী থাকেন না হল্ট স্টেশনে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই সকল পিএইচ স্টেশনকে ডি ক্যাটাগরির স্টেশন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। যে কারণে এই সকল স্টেশনে কোন কর্মী নিয়োগ করা হয় না। এখন প্রশ্ন হল, রেলের পুরনো কর্মী নিয়োগ না থাকলে কিভাবে এখানকার যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করেন। এখনকার দিনে অনলাইন ব্যবস্থায় টিকিট সংগ্রহ করা অনেক সহজ হয়েছে। এর পাশাপাশি রেল এই সকল হল্ট স্টেশনের আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের কারো সঙ্গে চুক্তি করে টিকিট বিক্রি করে থাকে।