নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল শিল্পপতি রয়েছেন তাদের মধ্যে স্বনামধন্য শিল্পপতি হলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। রতন টাটার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের বহু মানুষ জীবনের গতি খুঁজে পান। রতন টাটার আদর্শকে সম্বল করেই Tata গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা চলছে। আর সেই সকল ব্যবসার মধ্যে অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা হল TCS (Tata Consultancy services)। তবে এই সংস্থার এখন সময় ঠিক যাচ্ছে না।
টাটা গ্রুপ কর্মক্ষেত্রে সবসময় সমানাধিকারের নীতি মেনে চলে। যে কারণে তাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব কর্মক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষ দুই ধরনের কর্মী নিয়োগ করা হয়। TCS-এ এই মুহূর্তে ছয় লক্ষ কর্মীর মধ্যে ৩৫ শতাংশ কর্মী রয়েছেন যারা মহিলা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে এই সংস্থার মহিলা কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।
Tcs থেকে এইভাবে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার তালিকায় অনেকে থাকলেও তাদের অধিকাংশই মহিলা। মহিলাদের এইভাবে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পিছনে কি কারণ রয়েছে? সংস্থায় থাকা মহিলা কর্মীদের এইভাবে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পিছনে রয়েছে সংস্থার তরফ থেকে সম্প্রতি ওয়ার্ক ফ্রম হোম ছেড়ে অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ। এই নির্দেশের পরই মহিলা কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঢল নেমেছে।
তিন বছর আগে যখন করোনা অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় অন্যান্য সংস্থার মতোই টাটার এই সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করে। কিন্তু দিন কয়েক আগে কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করতে বলার পরই দেখা যায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। এই ঘটনায় সবার আগে রয়েছে মহিলা কর্মীরা। বর্তমানে অতিমারি শেষ হয়ে গেলেও অনেক কর্মী রয়েছেন যারা কোনভাবেই অফিসে এসে কাজ করতে চাইছেন না।
TCS যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা যাবে তবে মাসে অন্ততপক্ষে ১২ দিন অফিসে এসে কাজ করতে হবে। এই নিয়ম মানা না হলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেতন কেটে নেওয়া সহ ছুটির ক্ষেত্রেও কাটছাঁট করা হতে পারে। এইসব শুনেই কর্মীদের একাংশ আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম ফিরে পাবেন না এই ভেবে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা।