নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণ করার পর গত ২৩ আগস্ট চাঁদে অবতরণ করানো হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ দিন পর অবতরণ করানো হয়। এই ৪০ দিনের ধীরে ধীরে চন্দ্রযান ৩ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পৌঁছে যায় চাঁদে। তবে প্রশ্ন হল কেন ২৩ আগস্ট দিনটিকেই বেছে নেওয়া হলো? এই দিনটিকে বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে ৫টি অবাক করা কারণ।
১) চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) প্রজ্ঞানকে নিয়ে চাঁদে অবতরণ করেছে। চাঁদে অবতরণ করার পর বিক্রম থেকে রোভার প্রজ্ঞান বাইরে বেরিয়ে এসে চাঁদের মাটিতে তার নিজের কাজকর্ম চালাবে। এই কাজকর্ম চালানোর জন্য যে শক্তি ব্যবহার করা হবে তা সৌরশক্তি।
২) পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টায় একদিন হয় আর সেই একদিনের মধ্যে ১২ ঘন্টা থাকে সূর্যের আলোয় আলোকিত আর বাকি ১২ ঘন্টা অন্ধকার। কিন্তু চাঁদের ক্ষেত্রে একদিন হয় প্রায় ২৮ দিনে। এরমধ্যে সেখানে ১৪ দিন থাকে আলো আর বাকি ১৪ দিন থাকে অন্ধকার।
৩) এই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে ইসরোর বিজ্ঞানীরা গণনা করে জানতে পারেন ২৩ তারিখ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো দ্বারা আলোকিত থাকবে। এই দিন থেকেই চাঁদের আলোকিত থাকার ১৪ দিন শুরু হচ্ছে।
৪) যেহেতু চন্দ্রযান ৩ এর প্রজ্ঞান খুব কম করে ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে তাই ২৩ তারিখ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যাতে করে ওইদিন থেকেই টানা ১৪ দিন সূর্যের আলো থেকে সৌরশক্তি তৈরি করে প্রজ্ঞান নিজের কাজ চালাতে পারে। ২৩ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
৫) চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা -২৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এমনিতেই এই তাপমাত্রায় যান চালানো বড্ড চ্যালেঞ্জিং। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ আগস্ট বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ ওই সময় চাঁদে সূর্যের আলোর সূচনা হচ্ছে। এতে যেমন তাপমাত্রার বিষয়টিও সাহায্য করবে, ঠিক সেই রকমই আবার সৌরশক্তির ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।