দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় কেন হাউ হাউ করে কাঁদেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Bandyopadhyay) বরাবর একজন দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। দাপুটে নেতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নিজের এলাকায় সাংসদ হিসাবে রয়েছেন। এছাড়াও তার একটি বড় পরিচয় হলো, তিনি একজন দুঁদে আইনজীবী। তবে এমন একজন প্রভাবশালী মানুষকে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গেল। কিন্তু কেন?

শ্রীরামপুর গান্ধী ময়দানে ৫ ও ৬ পল্লীর দুর্গাপুজোয় রবিবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এইভাবে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে কাঁদতে দেখে সকলে অবাক হয়ে যান। মা দুর্গার সামনে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং তারপরেই হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। যে দুর্গাপুজোয় তাকে এইভাবে কাঁদতে দেখা গেল সেটি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুজো নামে পরিচিত। আয়োজক পুজো কমিটি এবং ক্লাবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছর এই দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর সন্ধিপূজো নিজের হাতে দিয়ে থাকেন। সংস্কৃতে সন্ধিপুজোর মন্ত্রপাঠ করে ধূপধুনো, ঢাক ঢোলের মাধ্যমে প্রতিবছর তিনি দেবী দুর্গার অষ্টমীর সন্ধি পুজো দেন। আর শুধু এই বছর নয়, প্রতিবছরই তাকে এইভাবে দেবী দুর্গার সামনে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা যায়। তাকে এইভাবে কাঁদতে দেখে যেমন সেখানে উপস্থিত মানুষেরা অবাক হয়ে যান ঠিক সেই রকমই অবাক হয়ে পড়েন রাজ্যের বাসিন্দারাও।

প্রতিবছর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি আর ধুতি পরে পুজো দিতে দেখা যায়। প্রতিবছর ভক্তি ভরে মা দুর্গার সামনে হাতজোড় করে তিনি পুজো দেন এবং প্রতিবছরই হাতজোড় করে হাউ হাউ করে কাঁদেন। প্রতিবছরই তাকে দেখা যায় পুজোর মধ্যে ডুবে গিয়ে মন্ত্রোচ্চারণের সময় আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন এবং তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে।

অষ্টমী এবং নবমীর মিলনক্ষণেই দেবী দুর্গার দেবী চামুণ্ডা রূপে চন্ড ও মুন্ড দুই অসুরকে বধ করেছিলেন বলে কথিত আছে। আবার রাবণকে বধ করার জন্য শ্রীরামচন্দ্র যখন দেবী দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন তখন সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করেছিলেন। এসবের মধ্য দিয়েই সন্ধি পুজোয় অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির আবির্ভাবের প্রার্থনা করা হয়। যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এইভাবে কেঁদে ওঠেন তা স্পষ্ট নয়, তবে তার মন্ত্রোচারণ থেকে শুরু করে পুজো পদ্ধতি দেখে মনে করা হয়, তিনি দেবী দুর্গার পুজো দেওয়ার সময় মন্ত্রোচ্চারণ করতে গিয়ে এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন যে তার চোখে অশ্রু ঝরে।