Is there any scientific reason behind motorcycle taillight being red: রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় বহু মোটরসাইকেল চোখে পড়ে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি কেন এই মোটরসাইকেলের লাইটের রং লাল হয় (Motorcycle back light)? সাধারণ মানুষের কাছে যানবাহন হিসেবে মোটরসাইকেলের গুরুত্ব অনেক। এই দুই চাকার বাহনটি যে কোন জায়গার সহজে পৌঁছে যেতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের কাছে বাইক আছে তারা কি কখনো এই বিষয়গুলো ভেবে দেখেছেন? এমনকি যাদের বাইক নেই তাদের মনে আদর দিয়ে এই প্রশ্নগুলো একবারও এসেছে? এর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেকগুলো কারণ। এই প্রতিবেদনে সেগুলোই আলোচনা করা হবে।
টেল লাইটের রং(Motorcycle back light) লাল দেওয়ার পিছনে সব থেকে বড় কারণ হলো একে বলা হয় ওয়ার্নিং লাইট। যখনই আপনার সামনে কোন লাল লাইট জ্বলে উঠবে বুঝবেন সেটি হল একটি সতর্কবার্তা। মানুষকে কোন বিপদ থেকে সাবধান করতে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। লাল লাইট পছন্দ করার অন্যতম কারণ হলো এর মধ্যে থাকে দীর্ঘ তরঙ্গ। কোন চালক লাল রঙকে দূর থেকে দেখতে পাবে। এর ফলে পেছনের চালক গাড়ি চালাবে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে। শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের টেল লাইট যে লাল হয় তা নয় যেকোনো গাড়ি টেল লাইটের রং লাল হয়ে থাকে।
লাল রং হল এমন একটি রং যা বহুদূর থেকে দেখা যায়। তাই এর দৃশ্যমানতার জন্যই বাইক কিংবা গাড়ির টেল লাইট এর রং লাল হয়। যাতে চালকরা বহু দূর থেকে এই রংকে দেখে বুঝতে পারে সামনে কোন গাড়ি আছে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কুয়াশা এবং খুব জোরে বৃষ্টি হলে এই লাল লাইট জ্বলজ্বল করতে থাকে। যেসব গাড়ি দ্রুত গতিতে আসে তারা যানবাহনগুলির ওই রেড লাইট থেকে দেখে সজাগ হয়ে যেতে পারে। এমনকি রাত্রিবেলায় টেল ল্যাম্পগুলি (Motorcycle back light) দুর্দান্তভাবে দেখতে সুবিধা করে চালকদের। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে এর উপকারিতা অনেক।
বেশিরভাগ মানুষই লাল আলোকে বিপদ সতর্কতা এবং থেমে যাওয়ার প্রতীক হিসাবে দেখে। যখন এই জ্বলজ্বল করা লাল আলো পিছনের গাড়ির চালক দেখবেন তখন তিনি গাড়ি সাবধান ভাবে চালাবেন এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যখনই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার তখনই ভাবতে হবে এই লাল আলোটির গুরুত্ব কিন্তু একদমই কম নয়। সেই কারণেই গোটা বিশ্বের সবকটি গাড়ির কোম্পানি তাদের গাড়ি কিংবা বাইকের টেল লাইট এর রং লাল (Motorcycle back light) হিসাবেই বেছে নিয়েছে। অন্য কোন রং এখানে প্রযোজ্য হবে না।
অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি – 620 থেকে 750 ন্যানোমিটার। এই লাল আলোর কাছাকাছি রয়েছে আরেকটি রং যা হল কমলা। যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 590 থেকে 620 ন্যানোমিটার। এর পরে রয়েছে হলুদ (590), সবুজ (570) এবং নীল 450 থেকে 495 ন্যানোমিটার। সুতরাং তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ার জন্যই টেল লাইট এর রং লাল হয়ে থাকে। যদি কোন গাড়ি কিংবা বাইক কোম্পানি তাদের টেল লাইটের রং পরিবর্তন করার চেষ্টা করে তার জন্য নির্দিষ্ট শাস্তি পেতে হবে। লাল রঙ রাখাই হলো বাধ্যতামূলক।