কেন হল না পৌষমেলা, মুখ খুললেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত বছর শান্তিনিকেতনে হয়নি ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। চলতি বছর সংক্রমণ কম থাকায় বহু মানুষের মধ্যে আশা ছিল ছোট করে হলেও আয়োজন করা হতে পারে পৌষ মেলার। তবে সকলেই আশাহত হন যখন জানা যায়, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার মাঠে পৌষ মেলার আয়োজন করছে না।

পৌষ মেলার আয়োজন নিয়ে বোলপুর পৌরসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পক্ষ বিশ্বভারতীতে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু সেই সকল আবেদনে সাড়া দিতে দেখা যায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এমত অবস্থায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বিকল্প একটি মেলার আয়োজন করে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে।

অন্যদিকে কেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার আয়োজন করল না তা নিয়ে এযাবত টু-শব্দ করতে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে যখন রীতি মেনে ৭ পৌষ উদযাপিত হচ্ছে পৌষ উৎসব, সেই সময় পৌষ উৎসবের সূচনা পর্বে ছাতিম তলায় বসে কারণ জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

ছাতিমতলায় উপাসনার সময় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, “পৌষ মেলার আয়োজন করতে পারলাম না। যে কারণে আপনাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। আপনাদের মত বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের মন ভারাক্রান্ত। আজ ফাঁকা মাঠ দেখে আমার চোখের জল বেরিয়ে এসেছে। এর জন্য কাউকে দায়ী করছি না। করোনা এবং ওমিক্রনের বাড়াবাড়ির জন্য মেলা করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত সে নিয়েও ব্যাখ্যায় নাইবা গেলাম।”

এর পরেই তিনি জানান, “মেলার আয়োজন করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছিলাম। পৌষ মেলা করার প্রচেষ্টা আমরা অক্টোবর মাস থেকে নিয়েছিলাম। সেই জন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে যখন চিঠি লিখি তখন তারা জানান, রাজ্য সরকারকে চিঠি করার জন্য। কারণ হিসেবে তারা জানান, কোভিড প্রটোকল ঠিক করতে হবে লোকাল কন্ডিশন অনুযায়ী। এরপর আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি করি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কি করা উচিত তা জানার জন্য। অক্টোবরের গোড়াতে করা সেই চিঠির উত্তর পেতে আমরা তিনবার রিমাইন্ডার দিই। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর আমরা আজও পাইনি।”

এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দাবি করেন, চিঠির উত্তর না মেলার কারণে আমরা বুঝে উঠতে পারিনি মেলার আয়োজন করা উচিত না অনুচিত। এমন পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, মেলার আয়োজন করবো না।