Ratan Tata even returned the honor of King Charles just because of his pet care: রতন টাটার (Ratan Tata) নাম শোনেনি এমন মানুষ এই পৃথিবীতে কমই আছে। তাকে এক কথায় নিঃসন্দেহে বলা যায় মাটির মানুষ। যারা কাছ থেকে মানুষটিকে দেখেছেন, চিনেছেন তারাই বলতে পারবেন তিনি কতটা উদার। শুধু শিল্পপতি হিসেবেই নয় তিনি সমগ্র বিশ্বে পরিচিত তার উদার মনোভাবের জন্য। তার নামটাই অনেকের পক্ষে যথেষ্ট।
সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে তিনি শুধুমাত্র একজন আইকন নয় তিনি একজন যোগ্য আইডলও বটে। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, সমগ্র বিশ্বে তার নাম সব সময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তিনি অবশ্যই টাটা গ্রুপের ব্যবসাকে বৃদ্ধি করেছেন, এছাড়াও বিভিন্ন কাজে তার অবদান অনস্বীকার্য। সমাজের বিভিন্ন জনহিতকর কাজে তিনি (Ratan Tata) সবসময় এগিয়ে এসেছেন।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন তিনি আসলে কেমন মনের মানুষ? সুহেল শেঠ নামে একজন ব্যবসায়ী এবং কলামিস্ট রতন টাটার আসল চরিত্র সবার সামনে তুলে ধরেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি রতন টাটার (Ratan Tata) জীবনী নিয়ে একটি নতুন গল্প প্রকাশ্যে এনেছেন। সুহেল বলেন যে, প্রিন্স চার্লস বর্তমানে যিনি কিনা রাজা চার্লস ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেসে রতন টাটাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন “লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট” দেওয়ার জন্য। সব রকম প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেছিল।
সুহেল আরো বলেন যে, সেই সময় তিনি লন্ডনে পৌঁছেছিলেন ফেব্রুয়ারির ২-৩ তারিখ। তিনি লক্ষ্য করেন তার ফোনে রতন টাটার এগারোটা মিসড কল। যখন তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরের কনভেয়ার বেল্ট থেকে তার ব্যাগগুলি তুলে নিয়ে মিস্টার টাটাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে। সেই সময় রতন টাটা সুহেল শেঠকে ফোনে জানান যে, তার একটি পোষ্য কুকুর ট্যাঙ্গো এবং টিটোর স্বাস্থ্য খুব খারাপ হয়ে গেছে। এদিকে প্রিন্স চার্লস তথা বর্তমান কিং চার্লস বাকিংহাম প্যালেসে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করেছেন। কিন্তু লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের ডেকে সাড়া দিতে পারেননি রতন টাটা (Ratan Tata)। শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটিও তার নেওয়া হয়নি।
এই প্রসঙ্গে প্রিন্স চার্লস বলেছেন যে, রতন টাটা (Ratan Tata) মানুষটি হলো এরকম। বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র তার মানসিকতার জন্যই তিনি মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছেন। রতন টাটা সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সমস্ত ছবি শেয়ার করেন সবকটির পেছনে কিছু না কিছু অন্তর্নিহিত মানে লুকিয়ে আছে। এই বছরের ১০ই জানুয়ারি তিনি একটি ছবি শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তাকে দেখা যায় তার ভাই জিমি নাভাল টাটার সাথে একটি সাইকেল এবং একটি কুকুরের সাথে। এছাড়া ছবিটির ক্যাপশনই তিনি তুলে ধরেছেন যে, সেই সময়গুলোই ছিল সুখের। ১৯৪৫ সালে তার ভাই জিমির সাথে তোলা এই ছবিটি। ছবিতে একটি কুকুরকেও দেখা যাচ্ছে, যার থেকে প্রমাণ হয় যে তার ছোট থেকে কুকুরের প্রতি বিশেষ টান ছিল। পোষ্যদের প্রতি সেই ভালোবাসা ও টানে এক ফোঁটাও ভাটা পড়েনি।