Lalarukh wants to hide behind his brother’s fame: বলিউডের কিং খানকে চেনেনা এমন মানুষ বোধহয় এই দুনিয়াতে নেই। “পাঠান” সিনেমাতে তার অভিনয় আগুন লাগিয়েছিল গোটা বক্স অফিসে। এরপর শাহরুখ অভিনীত “জওয়ান” সিনেমা সবরকম রেকর্ড ভেঙে দেবে এমনটাই আশা করছেন আপামর জনগণ। রুপোলি পর্দার চাকচিক্য দিয়ে ভরা তার জীবন। মন্নতের বাইরে তাঁকে একবার দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে তার ভক্তরা। অভিনেতা বরাবর স্ত্রী গৌরী খান, ছেলে আরিয়ান খান এবং মেয়ে সুহানা খানকে নিয়ে নিজের স্টারডমকে উপভোগ করেন। ছোট্ট আব্রাহামও সব সময় থাকেন স্পটলাইতে। কিন্তু, আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেব শাহরুখ খানের পরিবারের এমন এক সদস্যের কথা যে চিরকালই থাকতে পছন্দ করেন সবকিছুর অন্তরালে। আসলে কে এই সদস্য (Sister of Shah Rukh)?
তিনি হলেন শাহরুখ খানের দিদি লালারুখ খান। ভাইয়ের সঙ্গে মন্নতেই থাকেন তিনি (Shehnaz Lalarukh Khan)। খুবই মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে তিনি। বাবা-মা সব সময় চেয়েছিলেন পড়াশোনা করে খুব বড় হোক লালারুখ। তিনি মাস্টার্স এবং পরে LLB করেছিলেন। কিন্তু, ভাগ্যের এমনই ফের জীবনের কিছু ঘটনা তাকে একেবারে নিশ্চুপ করে দিয়েছিল। মন্নতে একাকী থাকতে পছন্দ করেন তিনি (Sister of Shah Rukh)। লালারুখের সঙ্গে এমন কি ঘটেছিল যা পাল্টে দিয়েছিল তার জীবন? বলিউডের বাদশা নিজের দিদি সম্পর্কে বেশি কথা প্রকাশ্যে আনেন না। বহু আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেকটা মানুষের শোক প্রকাশ করার ধরণ একেবারে আলাদা। বাবা মারা যাবার পরেই তার দিদি এক ফোঁটাও কাঁদেনি এমনকি কোন কথাও বলেনি। বাবার নিথর শরীরের সামনে হঠাৎ করে জ্ঞান হারান দিদি এবং মাথাটা জোরে ধাক্কা খেয়েছিল মেঝেতে।
তিনি আরো বলেন যে, দু’বছর পর দিদিকে (Sister of Shah Rukh) দেখলেন একেবারে শূন্যে চেয়ে থাকতে। কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেখাত না তিনি। কথা বলা কান্নাকাটি করা একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিল। বাবা মারা যাওয়ার ঠিক ১০ বছরের মাথায় মাও মারা গিয়েছিল। একেবারে অনাথ হয়ে গিয়েছিল দুইজনে। মা মারা যাওয়ার পর লালারুখ আরো ভেঙে পড়েছিল। ধীরে ধীরে শেহনাজের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। শাহরুখ যখন দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের শ্যুটিংয়ের সময় সুইৎজারল্যান্ডে গেছিলেন তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তার দিদি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে, বাঁচার কোনরকম সম্ভাবনাই ছিলনা তার।
সেইবারের মত বাঁচানো গেছিল শাহরুখের দিদিকে (Sister of Shah Rukh) এবং তারপর থেকে মন্নতের প্রতিটি সদস্য তাঁর যত্ন নেন। লালারুখের বয়েস বর্তমানে ৬৩ বছর। তিনি আরো বলেন যে, এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। খুবই সাধারণ এবং ভালো মনের মানুষ তিনি। সকলের সঙ্গে খুবই ভালো ব্যবহার করে। শাহরুখের বাচ্চারা লালারুখকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আসলে শাহরুখের দিদি তার মা আর বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই শোক থেকেই সাহস নিয়েছিলেন কিং খান। তবু তিনি মনে করেন তার সব কিছু লোকদেখানো। কাজের মধ্যে না থাকলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। নিজেকে তাই কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে চান। যদি কখনো তিনি ফ্রি হয়ে যান শূন্যতা গ্রাস করবে তাকে, এমনকি ডিপ্রেসন গ্রাস করতে পারে তাকে।