তিহাড়ে এক জেলে বাপ বেটি! তবে এই কারণে দেখা হবে না অনুব্রত সুকন্যার

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) এখন ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে (Tihar)। অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি তিহার জেলেই ঠাঁই হয়েছে তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলেরও (Sukanya Mondal)। মে মাসের ১২ তারিখ পুনরায় সুকন্যাকে আদালতে পেশ করা হবে।

তিহার জেলে সুকন্যা মন্ডলকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পরই তিনি তার বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। আবার একই জেলে দুজনের থাকার ফলে মনে করা হচ্ছিল তাদের মুখোমুখি দেখা হওয়া অনেক সহজ হবে। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। তিহার জেলে একটি ব্লকে থাকলেও তাদের দুজনের নিয়মিত দেখা হওয়া এক প্রকার অসম্ভব।

গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও সাইগাল হোসেন, মনিশ কোঠারি, এনামুল হক এবং দিল্লির অর্থ তছরূপের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা প্রত্যেকেই রয়েছেন এক জায়গায় অর্থাৎ সাত নম্বর ব্লকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছিল সুকন্যা মন্ডলকেও একই জায়গায় রাখা হবে এবং অনুব্রতর সঙ্গে তার দেখা হবে।

কিন্তু সুকন্যা মণ্ডলকে জেলের নিয়ম অনুসারে রাখা হয়েছে মহিলাদের ওয়ার্ডে। তিহার জেলের কম্পাউন্ড বিশাল হওয়ার কারণে মহিলা ওয়ার্ড এবং পুরুষ ওয়ার্ডের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই। যে কারণে যেটা ভাবা হচ্ছিল যে খুব সহজেই বাবা ও মেয়ের নিয়মিত দেখা হতে পারে তা হবে না। এছাড়াও যদি অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডল নিজেদের মধ্যে দেখা করতে চান তাহলে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। যদি জেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয় তবেই তারা দেখা করতে পারবেন।

সাধারণ ক্ষেত্রে দেখা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হলেও এই ধরনের হাই প্রোফাইল মামলায় দেখা সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রে অনুমতি পাওয়া খুব মুশকিল। এর পাশাপাশি সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে এখনো পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল অথবা সুকন্যা মণ্ডল দুজনের কেউই নিজেদের মধ্যে দেখা করার জন্য আবেদন জানাননি। এই পরিস্থিতিতে বন্দী দশায় বাবা ও মেয়ের মধ্যে দেখা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।