৭ মাস ধরে স্বামী কলকাতায়, স্বামীকে স্বপ্নে ভালোবেসে বিহারে গর্ভবতী স্ত্রী!

নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবনের প্রতি মুহূর্তে বিস্ময়কর ঘটনা বারংবার আমাদের হতবাক করে তোলে। গর্ভাবস্থা নিয়েও রয়েছে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা। তবে সম্প্রতি বিহারের এক গৃহবধূর গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা সকলকে করেছে চক্ষু চড়কগাছ। রামায়ণ বা মহাভারতের যুগে দেবতাদের আশীর্বাদে সন্তান প্রাপ্তির ঘটনা বহুল প্রচলিত ভারতে। তবে বর্তমান কলিকালে স্বপ্নে স্বামীকে ভালোবেসে গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা কেউ শোনেননি।

ঘটনা বিহারের ভাগলপুরের। যেখানে এক মহিলা গর্ভবতী হওয়ার কারণে উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। মহিলার স্বামীর কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়, আর কাজের কারণে সাত মাস পর পর ফিরে যান বাড়িতে। ফোনে দুজনের নিয়মিত কথাবার্তা হত। তবে দুর্গা পুজোয় বাড়ি ফিরে আসে ওই মহিলার স্বামী।

ওই গৃহবধূর ননদ দিন কয়েক আগে ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। জানতে পারেন ওই গৃহবধূ তাই তিন মাসের গর্ভবতী। কিন্তু সাত মাস ধরে স্বামী বাইরে থাকা সত্ত্বেও কিভাবে গর্ভবতী হলেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়েন তিনি। পুজোর সময় দাদা বাড়িতে এলে তাকে সমস্ত কথা খুলে বলেন। তারপর ওই গৃহবধূর স্বামী গৃহবধূকে গর্ভবতী হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। প্রশ্নে গৃহবধূর উত্তরে বিস্মিত হয়ে যান ওই গৃহবধূর স্বামী।

উত্তরে গৃহবধূ জানাই, প্রতিদিন রাতে স্বপ্নে তিনি স্বামীকে দেখতেন। স্বপ্নে স্বামীকে ভালোবাসতেন আর সে কারণেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে ওই গৃহবধূর লোক ভোলানো কথায় বরফ গলেনি। অবশেষে ঘটনাটি ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পঞ্চায়েতে জানাই। কিন্তু সেখানেও কোন কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই গৃহবধূর ননদ দ্বারস্থ হয় বিহারের ডিআইজি বিকাশ ভৈরবের নিকট।

তারপর ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানা যায় ওই গৃহবধূ ৭৮ দিনের গর্ভবতী। ওই গৃহবধূর ননদ সন্তানের পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্টের দাবি করেছেন। অন্যদিকে বারবার সন্তানের পরিচয় জানতে চাপ সৃষ্টি করলে ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

তবে সেই হুমকিতে কাজ হয়নি, ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ,পূর্ব পরিচিত এক যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরই ওই গৃহবধূ গর্ভবতী হয়ে পড়ে।