অমরনাথ দত্ত : ‘বিশ্বভারতীকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। গেরুয়াকরণের রাজনীতি করছেন উপাচার্য। পাগলামি করছেন তিনি। আর এই পাগলামি না ছাড়লে বিশ্বভারতীর ভিতরে গিয়ে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে দেবো। ভিসি একটা পাগল।’ ঠিক এই ভাবেই সোমবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে লক্ষ্য করে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার বিশ্বভারতীতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিশ্বভারতীতে আসার পাশাপাশি তিনি বোলপুরে একটি রোড শো করেন। আর এই রোড শোয়ের জনসমাগম ইতিমধ্যেই শাসকদলের কপালে ভাঁজ ফেলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন। আর এরই পাল্টা হিসেবে সোমবার অনুব্রত মণ্ডল জানান আগামী ২৯ ডিসেম্বর একই জায়গায় রোড শো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়! এবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আক্রমণের মুখে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অনুব্রত মণ্ডল এদিন সরাসরি অভিযোগ করেন বিশ্বভারতীর ভিতরে রাজনীতিকরণ চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, “১০০% রাজনীতিকরণ চলছে। কালতো দেখে নিলেন। কাল দেখেন নাই নাকি। জীবনে কোনদিন হয়েছে? ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, আপ টু বাজপেয়ি। কোনদিন তো হয়নি।”
আর এরপরই তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পাগল ভিসি। ও যদি মনে করে আমি যা মন তাই করবো, মানবো না। এতদিন বিশ্বভারতীতে রাজনীতি করিনি। ডাইরেক্ট করবো। বিশ্বভারতীর ভিতরে গিয়ে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে দেবো। ও যদি পাগলামি না ছাড়ে। ওর মস্তিষ্ক খারাপ বলে তো সবারই খারাপ নয়। ও যা করবে তা তো মানতে পারিনা। ওর অধিকার নাই বাঙালিকে ক্ষুণ্ন করার। ঠিক রাস্তায় চলতে হবে।” ভিসি প্রসঙ্গে বলেন, “একবারে পাগল। পাগল তো অনেক ধরনের হয়।”