Malda: লটারির টিকিট মোটামুটি সবাই কাটেন। কারো কপালে পুরস্কার জোটে, আবার কারো কপালে জোটে লবডঙ্কা। কিন্তু সামান্য কয়টা টাকা দিয়ে লটারি কিনে পুরো জীবন বদলে গেছে এমন্টা খুব কমই দেখা যায়। যেমনটা ঘটেছে মালদার (Malda) বাসিন্দা বছর তিরিশের মুন্না আলীর সাথে। পেশায় তিনি পরিযায়ী শ্রমিক, কোনো রকমে সংসার চালান। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে লটারি কাটার নেশাও। তবে লটারি কেটে যে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মুন্না।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুরের মারাডাঙ্গির বাসিন্দা মুন্না আলী। পরিবারের সদস্য বলতে বয়স্ক বাবা, স্ত্রী ও ছেলে। অভাবের সংসারে আর্থিক টানাপোড়েন লেগেই থাকে। দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করেই চলে তাদের জীবন। তার জন্য সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে লটারি কেটে বড়লোক হবেন সেই আশায় মাঝেমাঝে লটারি কাটেন মুন্না। তবে মাত্র দেড়শ টাকার লটারিতেই যে তার ভাগ্য়ের চাকা ঘুরে যাবে তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করেননি।
মুন্না জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে ইসারুল হক নামে জনৈক বিক্রেতার কাছ থেকে দেড়শ টাকার বিনিময়ে লটারি কাটেন তিনি। তার কাছে লটারি কেনার কোনো টাকা ছিল না। শেষ পর্যন্ত জমানো সঞ্চয় দিয়েই এই টিকিট কেটেছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন মুন্না, জানতে পারেন এক কোটি টাকা জিতেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:Lottery Ticket: আশায় মরে চাষা, ১৯ বছর পর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল লাদেন চালকের
লটারি জেতার পর স্বভাবতই আনন্দে আত্মহারা মুন্না। তবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন তিনি। এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দারস্থ হন মুন্না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিবারে একমাত্র তিনিই রোজগার করেন। ১৪ বছর ধরে দিল্লিতে প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করেন তিনি। এই লটারি জেতার পর সংসারে কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে বলে মনে করছেন মুন্না।
লটারির টাকা নিয়ে কি পরিকল্পনা আছে মুন্নার? সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই টাকা দিয়ে তিনি একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করবেন। এর পাশাপাশি কিছু জমিও কিনবেন। ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ তৈরি করবেন। এই হঠাৎপ্রাপ্তি লটারির টাকা মুন্নাকে আনন্দ দিলেও পুনরায় আর টিকিট কাটবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি কারণ মুন্না মনে করেন বেশি লোভ করা ঠিক নয়।