নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর শীত (Winter Season) পড়া নিয়ে যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা সচরাচর খুব কম সময় দেখা যায়। কেননা ডিসেম্বর মাস শুরু হয়ে গেলেও এখনো সেই ভাবে শীতের কোন লক্ষণই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শীতবিলাসীদের মধ্যে বারবার প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি এই বছর আর জাঁকিয়ে শীত পড়বে না?
কেননা অন্যান্য বছর দুর্গা পুজো অনেক আগেই হয়ে থাকে এবং তারপর কালীপুজো থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে হালকা শীত অনুভূত হতে শুরু করে। এই বছর কালীপুজোর অনেক দেরিতে হয়, সেই সময় হালকা শীতের অনুভূতি থাকলেও পরে তা আচমকা আটকে যায়। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় উল্টো পুরাণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাপমাত্রা নিম্নমুখী হওয়ার পরিবর্তে তা এখন উর্ধ্বমুখী।
তবে আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনা এই প্রথম নয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেও এমন খামখেয়ালিপনা দেখা গিয়েছিল। ২০২২ সালেও শীতের মরশুমেও তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় ছিল বেশি। মাঝে মাত্র কয়েকদিন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা লক্ষ করা গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতির মূল কারণ হলো তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকা। গত বছর এমন পরিস্থিতি থাকার পাশাপাশি এই বছরের আগাম ভবিষ্যৎবাণী হিসাবেও এমন পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছিল।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকতে পারে। এমনকি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবার যেসব মাসে কনকনে ঠান্ডা পড়ার কথা সেই সব মাসগুলিতে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকতে পারে।
এখনো পর্যন্ত জাঁকিয়ে শীত না পড়ার কারণ হিসাবে হওয়া অফিসের তরফ থেকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝাকে দায়ী করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করার ক্ষেত্রে যতক্ষণ না এই সব প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটবে, ততক্ষণ জাঁকিয়ে শীতের কোনো সম্ভাবনা নেই।