লাল্টু : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দামামা বাজতেই চারদিকে দলবদল থেকে শুরু করে সন্ত্রাস সবকিছুই সামনে আসছে। এসবের মধ্যেই কেষ্ট গড়ে মঙ্গলবার দেখা গেল ব্যতিক্রমী এক ঘটনা। যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে দেখা গেল এক বিজেপি প্রার্থীকে। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেও তাকে ঘন্টাখানেক ধরে রাখতে পারল না বিজেপি।
দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু। ওই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে ভুল থাকার কারণে বাতিল হয়। এদিকে তৃণমূলের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর দেখা যায় সিপিআইএম প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তৃণমূলের মনোনয়নপত্র বাতিল আর সিপিআইএমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান লক্ষ্মী মূর্মু।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের পর কেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন এই প্রশ্ন করা হলে লক্ষ্মী মূর্মু উত্তর দেওয়ার আগেই তার ছেলে কার্তিক মুর্মু উত্তর দিতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধান। অতি উৎসাহে উত্তর দিতে গিয়ে তিনি মুখ ফসকে বলে দেন, ‘বিজেপির উন্নয়ন’। যদিও মুহূর্তের মধ্যে নিজের ভুল সামলে তিনি জানান, ‘বিজেপির উন্নয়ন! অ্যা টিএমসির উন্নয়নের জন্যে!’
অন্যদিকে লক্ষ্মী মূর্মু জানিয়েছেন, “কেউ কোন জোর করেননি। তিনি নিজে দিদির উন্নয়ন দেখে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে এলেন।” তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা অভিযোগ করেছেন, “তৃণমূলের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরই তৃণমূল জোরপূর্বক সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন তোলা করায়। এরপর বিজেপি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করলে তাকে ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ করায়।”
তবে এই সকল বিষয়ে মানতে নারাজ দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল নেতা স্বপন মন্ডল জানিয়েছেন, বহু বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থী স্বেচ্ছায় তাদের মনোনয়নপত্র তুলে নিয়েছেন। এসবের ফলেই দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে ২৩টি আসনে ভোট হবে।